ঝালকাঠির রাজাপুরে দক্ষিণ সাউথপুর গ্রামের পূর্ব শত্রুতার জেরে চাঁদা না দেওয়ায় রাজমিন্ত্রী আবুল বাশারকে (৪৫) চাকু ও এন্টি কাটার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী নাজমুলসহ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবিতে রাজাপুর থানা ঘেরাও, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় দক্ষিণ সাউথপুর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে রাজাপুর থানার সামনে ঘণ্টা ব্যাপি মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ২ হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এরপরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভবনের সামনে অংশ নিয়ে সেখানেও ঘণ্টা ব্যাপি মানববন্ধন করে।
গত সোমবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় দুজনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনের নামে হত্যার মামলা দায়ের করেন। র্যাব এ ঘটনায় ঢাকার গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার নাজমুল বিএনপির সমর্থক ও উপজেলার ইন্দ্রপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিন পান্নু হাওলাদারের ছেলে।
নিহত রাজমিস্ত্রী আবুল বাসার দক্ষিণ সাউথপুর গ্রামের মৃত তানজের আলী হাওলাদারের ছেলে।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহতের মা দেলোয়ার বেগম, নিহতের স্ত্রী মোসা: আসমা বেগম, নিহতের বোন কুরছিয়া বেগম, নিহতের ছেলে স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম, নিহতের মেয়ে মরিয়ম, স্থানীয় কামালসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে আসামি নাজমুলের ফাঁসি দাবি করে বক্তারা বলেন, আবুল বাসার হত্যা মামলার প্রধান আসামি নাজমুল হাসান গতকয়েকদিন ধরে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। নাজমুল বলে নতুন ঘর উঠাইছো বাড়ি তুলছো, ৩ ভাই বিদেশ থাকে তোর কাছে কোনো ব্যাপার না টাকা দেওয়া। টাকা না দিলে তোকে মেরে ফেলবো বলে হুমকি দিয়ে আসছিলো। আবুল বাসার বাজারে ওষুধ কেনার জন্য যাওয়ার সময় আসামিরা বিএনপির প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে না বলে বাড়িতে ফিরে যেতে বলে।
এসব নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি, তর্কবিতর্ক ও মনোমালিন্য হয়। এ ঘটনার জেরে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাকে আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করে। এলাকায় চিহ্নিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাজমুল এর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে অস্র দিয়ে আঘাত করেছে। আসামি নাজমুলসহ এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানান স্বজনরা ও এলাকাবাসী।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, মামলার প্রধান আসামি নাজমুলকে রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।