ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রবিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৭ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার রবিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




কদমতলীর বিএনপির কর্মশালায় জনতার ঢল
সংস্কারের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো ভিন্ন পথ নেই : তারেক রহমান
ভোরের ডাক রিপোর্ট
প্রকাশ: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৬ পিএম  (ভিজিটর : ৭৫)

সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত বিএনপি'র “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে কদমতলী থানা বিএনপি। রোববার বিকালে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  কর্মশালায়  বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী  অংশ গ্রহণ করেন।  লন্ডন থেকে র্ভাচুয়ালী বক্তব্য দিলেও তারেক রহমানের বক্তব্য শুনার জন্য সাধারণ মানুষের ঢল নামে কর্মশালায়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদি আমীন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি সদস্য, ইশরাক হোসেন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। মূলত পুরো কর্মশালাটি সমন্বয় করেন তিনি। 

নির্বাচন ছাড়া কোনো ভিন্ন পথ নেই মন্তব্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  কর্মশালায় তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগেলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সবচেয়ে আগে নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদের জনগণ দায়িত্ব দেবে সংস্কারের কাজ তারাই শুরু করতে পারবে, তাদের শুরু করতেই হবে। কাজেই যত যাই কথা বলি না কেন, আমরা যদি সংস্কার বাস্তবায়ন যত দেরি করব, যে কথাটি আমি এখনই বলেছি, সংস্কারের কাজও যদি শুরু করতে হয় সেটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত মানুষের মাধ্যমেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদাই করবে যে, তারা সুযোগ পেলে বাস্তবায়ন করবে এই সব সংস্কার। 

তিনি বলেন, সংস্কারকে যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশকে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। কাজেই আসুন, এই সংস্কারকে বাস্তবায়ন করতে হলে উপায় একটাই, যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্র্বতী সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে, যেটাই হোক না কেন এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই। একটিই পথ জনগণের নির্বাচন। তারেক রহমান বলেন, আমি মনে করি, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়, এটা সকলকে অনুধাবন করতে হবে। কোনো কোনো ব্যক্তি বলেন যে, নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সাথে সাথে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচন হলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে, জনগণের রায়ের মাধ্যমে যেই দল যেই ব্যক্তি বা যারা দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবেন, তখন সমস্যার যে জট, সমস্যার যে গিট্টু সেগুলো আস্তে আস্তে খোলা যাবে।  


সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে, দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা   করে  তিনি বলেন, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যদি সংস্কার সংস্কার করে আমরা সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি, তাহলে যেই স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের সকল মানুষ, দল-মত নির্বিশেষে, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ একত্রিত হয়ে এদেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে, তাহলে সেই স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে যাবে, আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার।

কাজেই যে সকল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ, সমাজের বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, আপনাদের সকলের কাছে রাজনৈতিক দলের অবস্থান থেকে আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সংস্কার সংস্কার বক্তব্য রেখে এই আলাপ দয়া করে দীর্ঘায়িত করবেন না। কারণ আপনারা সংস্কারের আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশ তত বেশি সংকটের মুখে পড়বে, আপনারা সংস্কার আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশে তত ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, বহু মানুষ ভোটের অধিকারের আদায়ের জন্য হতাহত হয়েছেন। জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে সমস্যার জট খুলতে শুরু করবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ যত দ্রুত শুরু হবে, তত দ্রুত দেশকে রক্ষা করা যাবে।  


তারেক রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচারের সামনে একমাত্র বিএনপিই সংস্কারের কথা বলেছিল। আড়াই বছর আগেই এই ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল। ৩১ দফার সাথে সরকারের সংস্কার প্রস্তাবনায় খুব বেশি ফারাক নেই। ১০ টাকা কেজি চাল দেওয়ার মতো মিথ্যা আশ্বাস না দিয়ে বাস্তবতার আলোকে বিএনপি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও মানুষের সেবা করা। যখন দেশের মানুষ ১৫টি বছর যাবত স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ভোটের জন্য, বাকস্বাধীনতা অর্জন করার জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। মানুষের চাহিদা, দেশের উন্নয়নের বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রথমে ২৭ দফা ঘোষণা করেছিলাম। 

পরবর্তীতে বিএনপি যাদের নিয়ে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে কাজ করেছে তাদের নিয়ে আমরা ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। যারা সংস্কার সংস্কার করছেন প্রতিদিন। এই মানুষগুলোকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখিনি। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। অথচ দুই আড়াই বছর আগে বিএনপি বলেছিল সংস্কারের কথা। কারণ আমরা জানতাম স্বৈরাচারের পতন হবে। আগস্টের ৫ তারিখ হবে, সেটা হয়তো জানতাম না।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]