ই-পেপার বাংলা কনভার্টার বুধবার ● ১৯ মার্চ ২০২৫ ৫ চৈত্র ১৪৩১
ই-পেপার বুধবার ● ১৯ মার্চ ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




ঢাকার ৯০ ভাগ বাসের ফিটনেস নেই : তদারকিতে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করুন
ভোরের ডাক ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪২ এএম  (ভিজিটর : ৯৪)
বাংলাদেশের পরিবহন খাতে চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এক সহযোগী দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঢাকা শহরে ৯০ শতাংশ বাস ফিটনেসবিহীনভাবে চলছে। শুধু ঢাকা শহর কেন, সারাদেশেই চলছে ফিটনেসবিহীন বাস। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই। 

সমস্যা হচ্ছে দেশে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ৮৪ লাখ। এতো বেশিসংখ্যক যানবাহনের ফিটনেস যথাযথ পরীক্ষা করতে গেলে যে পরিমাণ অবকাঠামোগত এবং প্রশিক্ষিত জনবল দরকার তা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথিরিটির (বিআরটিএ) নেই। একটা গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করতে হলে ৫৯টি বিষয় পরীক্ষা করতে হয় যা বিদ্যমান সক্ষমতায় সম্ভব হয় না। 

গাড়ির ফিটনেস দেখার জন্য অপর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কি-না তার দায়িত্ব পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। তাদেরও লোকবল সঙ্কট আছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ভ‚মিকা রাখতে পারে। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের পতনের পর দেশ কিছুদিনের জন্য পুলিশ শূন্য হয়ে গেলে বেশকিছুদিন শিক্ষার্থীরা সফলতার সঙ্গে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছিল। বাংলাদেশের সড়ক-মহাসড়ক যেভাবে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে, নাগরিকরা সড়কে-মহাসড়কে যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন, তাতে এদিকে নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশের সড়ক মহাসড়ক এখন অনেকটা মৃত্যুক‚পে পরিণত হয়েছে। যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসেবে গত সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অবশ্য যাত্রীকল্যাণ সমিতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার খবর বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর মৃত্যু হিসাব প্রকাশ করে। কিন্তু এখন এলজিইডির পাকা সড়ক আজ গ্রাম পর্যন্ত আছে। সব দুর্ঘটনার খবর সংবাদপত্রে আসে বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর হিসেবে বছরে ১০ হাজারের ওপরে সড়কে মৃত্যু হচ্ছে।

বাংলাদেশে সড়কে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে শিক্ষার্থীদের। পরিবহন শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। পাকিস্তান আমলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে বাসভাড়া অর্ধেক করে নিয়েছিল। সেই থেকে বাসের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঝগড়া হতে দেখা যায়। 

২০১৮ সালে দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা এক অভ‚তপূর্ব আন্দোলন গড়ে তুলেছিল এবং সরকারকে বাধ্য করেছিল ‘সড়ক পরিবহন আইন-১৮’ সংসদে পাস করছে। ওই আইনে গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখা চালকের অবহেলায় মৃত্যুর জন্য হত্যা আইনে মামলার কথা ছিল। কিন্তু বিগত সরকার বাস মালিকদের স্বার্থে আইন পাস করেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এই পরিবহন শ্রমিকরা কাউকে ভয় পায় না, শুধুমাত্র ছাত্রদের কিছুটা সমীহ করে। 

শিক্ষার্থীরাও এ ব্যাপারে পারদর্শী। তারা দেশ বিদেশের সড়ক আইন সম্পর্কে জানে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো হোক। তারা লেখাপড়া করে পালাক্রমে সড়কে দায়িত্ব পালন করুক। তাতে যদি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]