প্রকাশ: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম (ভিজিটর : ১০২)
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গুম, খুন ও হত্যায় জড়িতরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কেননা আমরা অতীতের কারচুপি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতে হবে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) টক-এ অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যারা দেড় হাজার মানুষ হত্যা, গুম ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারা আবার দেশ শাসন করুক তা অধিকাংশ মানুষ চায় না। গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড করেছে, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেই সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই যারা অন্যায় করেছে, তারা যেন বিচারের আওতায় আসে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক আরও বলেন, একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা কারচুপিতে সহায়তা করেছে, তাদের বিচার করা হোক। তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। আমরা অতীতের কারচুপি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতে হবে।
আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ৩ অক্টোবর ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৮ সদস্যের ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুই দফায় এই কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. জাহেদ-উর রহমান, শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।