প্রকাশ: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম (ভিজিটর : ১২০)

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর বসেছে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। যতই দিন গড়াচ্ছে জমজমাট হচ্ছে মেলাপ্রাঙ্গণ। মেলায় দেশি বিদেশি বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ক্রেতাদের নজর কাড়ছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাও। মেলায় ঘুরে ঘুরে নতুন উদ্যোক্তাদের তৈরি নানান পণ্য কিনছেন তারা। মেলায় গৃহস্থালীর নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি দেশীয় কুটির শিল্প সামগ্রী, হস্তশিল্পের বিশেষ পণ্য, দেশীয় পোশাক, কসমেটিক্স, গৃহে ব্যবহৃত সাজ-সরঞ্জাম, চামড়াজাত পণ্য, খেলনা, স্টেশনারী, প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি মেয়েদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের গয়না। গতকাল শনিবার মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, চলতি বছর বাণিজ্যমেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), জয়িতা ফাউন্ডেশন এবং জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) পৃথক চারটি স্টল নিয়েছে। এসব স্টলে শতাধিক উদ্যোক্তা সরাসরি তাদের পণ্য বিক্রির এবং ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং চামড়াজাত পণ্যের প্রচার ও প্রসারে রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (এলএফএমইএবি) আলাদা আলাদা স্টল নিয়েছে নিজেদের পণ্য প্রচার এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বলছেন, মেলার শুরুর দিন থেকেই তাদের স্টলে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এসব স্টলে জায়গা করে নিয়েছে গৃহসজ্জার সামগ্রী, শতরঞ্জি, কুশিকাটার পণ্য, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি পণ্য, মৃৎপণ্য, বিভিন্ন ধাতব পাত্র, মিনিয়েচার ও শুকনো খাবার প্রভৃতি। এসএমই ফাউন্ডেশনের প্যাভিলিয়নে ১১ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তাদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছেন। এসব খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় পণ্য বিক্রিতে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন তারা। এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রধান কয়েকটি খাতের উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে সংস্থাটি। তাদের মধ্যে রয়েছে চামড়ার জুতা, চামড়াজাত অন্যান্য পণ্য, পাটজাত পণ্য, শতরঞ্জি, আসবাব, শুকনো খাদ্যসামগ্রী ও রিসাইক্লিং পণ্যের প্রতিষ্ঠান। এসএমই ফাউন্ডেশনের স্টলে ব্যাগ বাজারের স্বত্বাধিকারী তাহমিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব পণ্য পাটের তৈরি। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে বাণিজ্যমেলায় অংশ নিচ্ছি। আমাদের কাছে পাটের তৈরি জুতা, ব্যাগসহ সব ধরনের পণ্য আছে। আমরা পলিথিনের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ বিক্রি করছি। আকারভেদে দাম ২০-৪০ টাকা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) স্টলে পাট ও পাটজাত পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। রপ্তানি বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে আলাদা আকর্ষণ পাটজাত পণ্যের স্টলগুলোতে। তাদের পণ্যের তালিকায় রয়েছে কার্পেট, জায়নামাজ ও ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য। যা বিক্রিও হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। রায়হান নামে একজন উদ্যোক্তা বলেন, যদি পলিথিন দেশ থেকে ওঠে যায় তাহলে পরিবেশের জন্য ভালো। পাট আমাদের দেশের গর্ব। এটিকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য। আমাদের দেশের পণ্য আমরা ব্যবহার করব। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।