প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:১৬ পিএম (ভিজিটর : ১৫৮)

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবার যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাকে সংলাপের নামে নামে নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটটির নেতারা মনে করেন, প্লোক্লেমেশন নয়, গণ-অভ্যুত্থন নিয়ে ডিক্লারেশন বা ঘোষণা আসতে পারে । বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টনে ১২ দলীয় জোটের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এই মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আজ ( বৃহস্পতিবার ) সরকার সংলাপের নামে নাটক মঞ্চায়িত করেছে। তারা চরম বৈষম্য মূলক আচরন করেছে। তিনি বলেন, ১২ দলীয় জোট গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের ঘোষণা পত্র নিয়ে ধ্রম্রজাল ও অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্য হারাচ্ছে। আমাদের মধ্যে এই উপলব্ধি হচ্ছে যে, আমরা যারা ১৬ বছর যাবত ফ্যাসিবাদ শক্তি অপসারনের জন্য মরণপন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম তাদের উপেক্ষা ও উদাসীনতা প্রদর্শন করা হচ্ছে। উদাহারণ স্বরুপ বিগত সরকারের সময় মিথ্যা মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের এখনো পযর্ন্ত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাচ্ছে না। আজকের ( বৃহস্পতিবার ) সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে আমরা কোনো বার্তা পায়নি। আমরা অনেক অংশীজনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা সর্বদীয় বৈঠকে আমন্ত্রি হয়নি। যেহেতেু বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ আমরা আশা করেছিলাম সরকার আন্দোলনের সকল অংশীজনের সস্মান প্রর্দশন পূর্বক আমন্ত্রন জানাবেন। সেক্ষেত্রে আমরা চরম আশাহত হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনের সুচনা বক্তব্যে ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টি(জাফর)চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল হায়দার বলেছেন, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টি(জাফর)চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন,আমরা জুলাই-আগষ্টের ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাগরনকে গণ অভ্যুত্থন বলে মনে করি। ফলে ১২ দলীয় জোট মনে করে, প্লোক্লেমেশন নয়, গণ-অভ্যুত্থন নিয়ে একটা ডিক্লারেশন বা ঘোষনা আসতে পারে। কারন ৫ আগষ্টের অভ্যুত্থানের পর জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিক্তিতে অর্ন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকার সংবিধান অনুয়ায়ী শপথ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৫ বছর আগে থেকে আমাদের মধ্যে যে সংগ্রামী ঐক্য গড়ে উঠেছিলো, সে ঐক্য আজো অটুট আছে। যতক্ষন পযর্ন্ত পরিপূর্ণ বিজয় না আসে ততক্ষন পযর্ন্ত সে ঐক্য অটুট রাখতে হবে। কিন্ত তা স্বত্বেও কিছু কিছু ব্যাপার নিয়ে কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে জনসাধারন, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক সচেতন মানুষের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের নেতাদের কিছু কিছু বক্তব্য বিভ্রান্তি ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মোস্তাফা জামাল হায়দার বলেন, এখনো ফ্যাসিট আওয়ামী লীগ সরকারের পেত্বারা সমাজের রন্ধে রন্ধে বিরাজ করছে। এছাড়া প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা অবস্থান করে নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদতি হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটি-জাগপা সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ও গ্রগ্রতিশীল জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মো: লিটন।