প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:০৩ পিএম (ভিজিটর : ১০৫)
জুলাই আন্দোলনের সময় বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিদায়ী বছরে যাত্রী পরিবহন কমেছে বটে। তবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে।
এদিকে গত বছর যাত্রী পরিবহন কমলেও টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া নতুন নতুন রুটে ট্রেন চালুর উদ্যোগ আয় বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী পরিবহন কিছুটা কমলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটসহ বিপুল চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি নতুন রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করায় বিদায়ী বছরে রেলওয়ের আয় বেড়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির সামগ্রিক আয়ে।
কর্মকর্তারা আরো জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন চালু করা এই ট্রেন প্রথম বছরেই ৪২ কোটি ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছে। যা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া সর্বোচ্চ আয়।
জানতে চাইলে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ট্রেন চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রী পরিবহনও করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে যাত্রী পরিবহন কিছুটা কমেছে। তবে নতুন রুটে ট্রেন চালু করায় এ সময়ে রেলওয়ের আয় বেড়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বিদায়ী বছর ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ১৬০ জন যাত্রী পরিবহন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ২০২৩ সালের একই সময়ে যাত্রী পরিবহনের এই সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ জন। সে হিসাবে ২০২৩ এর চেয়ে ২০২৪ সালে যাত্রী পরিবহন কমেছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ২৪৮ জন।
অন্যদিকে বিদায়ী বছর ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে আয় করেছে ৬৪২ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৭ টাকা। ২০২৩ সালের এই সময়ে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আয়ের পরিমাণ ছিল ৬১১ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৮৭০ টাকা। সে হিসাবে আয় বেড়েছে ১১ মাসে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।