প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৩৭ পিএম (ভিজিটর : ১১৪)
হবিগঞ্জ জেলার লাখাইয়ে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। উত্তরে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষে জীবনমান ।
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে লাখাইয়ের আকাশ। সারাদিনে একবারও সূর্যের আলোর মুখের দেখা মেলেনি। শীতের তীব্রতায় রাস্তা ঘাটে ও হাটবাজার গুলোতে লোকসমাগম নেই বললেই চলে এদিকে চলতি রোপা আমন মৌসুমে আমন ধান কাটায় পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। তীব্র কুয়াশায় হার্ভেস্টার এর সাহায্যে ধান কাটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই কৃষকেরা জমির পাকা ধান কেটে গোলায় তুলতে পারছেনা।আর যা এরই মধ্যে কেটে সিদ্ধ করা হয়েছে তা সূর্যের আলো না থাকায় শুকাতে পারছেনা।তাই কৃষককূল পড়েছে বিপাকে। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সুর্যের আলোর অভাবে না পারছে ধান সিদ্ধ দিতে না পারছে ধান শুকাইতে ফলে কৃষক ধান কেটে ক্ষেত থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছে পড়িয়াদের কাছে।
এ বিষয়ে উপজেলার করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রাম এর কৃষক কুদ্দুস মিয়া, হামিদ মিয়া ও বামৈ ইউনিয়নের ভাদিকারা গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক এর সাথে আলাপকালে তারা জানান আগাম রোপা আমন ধান কেটে গোলায় তুলতে পারলেও বিলম্বে রোপনকৃত ধান এখনো কাটা সম্ভব হয়ে উঠনি।কুয়াশার কারনে ধান কাটার হার্ভেস্টার মাঠে নামতে পারছেনা। আর যা এরই মধ্যে কর্তন হয়েছে এবং সিদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা শুকাতে পারছিনা।সূর্যের আলো না থাকায় এবং মাঝেমধ্যে ২/৩ দিন রোদ থাকলেও তাতে কাজ হচ্ছেনা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে বেশীরভাগ ধান কাটা হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জমি এখনো কাটা হয়নি তবে তা পেকে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন লাখাইয়ে শতকরা ৯৫ ভাগ ধান কাটা শেষ। বাদবাকি ধানও পেকে গেছে তাই দ্রুত কেটে নিতে হবে।