প্রকাশ: শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ পিএম (ভিজিটর : ১২৪)
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এবং দেশের সমগ্র শাসনব্যবস্থায় মেধাতন্ত্রকে বহু বছর ধরে সবচেয়ে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। একই সময়ে আমরা আমাদের সাধারণ নৈতিকতার মানকেও অধঃপতিত করেছি। শনিবার বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ২৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের বিশেষ অভিনন্দন প্রাপ্য। কারণ আপনারা সমস্ত প্রতিক‚লতা অতিক্রম করে দেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনের শান্তিপূর্ণ রূপান্তর করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তখনই সফল হবে, যদি আমরা একটি সুন্দর আদর্শ গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তরিত হতে পারি।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পক্ষে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিনি। সমাবর্তনে ৮ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। আগামী প্রজন্মকে আশা, সম্মান এবং সাম্যের আলোকবর্তিকা হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ও সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন। স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের মধ্যে ২০২২ এবং ২০২৩ সালের স্নাতক ব্যাচের ভ্যালেডিক্টোরিয়ানদ্বয় তাদের অনুভ‚তি ব্যক্ত করেন। পরে শিক্ষা উপদেষ্টা অনুমোদনক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী সমাবর্তন কার্যক্রম শুরু করেন। সমাবর্তনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন অধ্যাপক এ কে এম ওয়ারেসুল করিম, স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল ইসলাম, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন এবং স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক দীপক কুমার মিত্র ডিগ্রি প্রার্থীদের তথ্য শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে আইনি জটিলতায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চারজন জ্যেষ্ঠ সদস্য সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন না। তারা হলেন- এম এ কাশেম, রেহানা রহমান, বেনজীর আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান।