ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ই-পেপার শনিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Select Year: 
শিরোনাম:




আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা কেন্দ্রিক
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:১২ পিএম আপডেট: ৩০.১১.২০২৪ ৬:৪৬ পিএম  (ভিজিটর : ১০২)
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা কেন্দ্রিক।  রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেয়া উচিত।  এজন্য আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্তই জরুরি। 

আজ ৩০ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার সকালে ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের উদ্যোগে  বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস পালন উপলক্ষে সায়েন্টিফিক সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম  এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি খুব আশ্বস্ত এবং গর্বিত যে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার আগেই কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের ডাক্তাররা, নার্সরা টেকনোলজিস্টরা কিভাবে চিকিৎসা সেবাটা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয় নাই। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন। 

ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব যদি ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই আমাদের ডাক্তাররা যতো ভাবে সম্ভব যেকোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সেই শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে। এ বিষয়ে একটা কথা বলে রাখি আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরনীতে দেখেছি যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে আসলে কোন প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিন দিনের জন্য গিয়ে ডাক্তাররা কি প্রশিক্ষণ নিবেন।  তিন দিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিং এর সময় আরো বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে কলমে বিষয়গুলি শিখতে পারি পারি সে সকল বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। সেটা এক সপ্তাহ হোক দুই সপ্তাহ হোক।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, আমার কাছে চল্লিশের উপরে ডাক্তারের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর আসেন নি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্বেও তারা দেশে আসেননি। একটা দরিদ্র হিসেবে এত অর্থের অপচয় আমরা কিভাবে মেনে নিব। আমাদের যাতে এ বিষয়গুলো যাতে পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নাই কিন্তু করে তারা যাতে দেশে ফিরে আসে। এটাই আমার চাওয়া। 

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট   ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত। 

সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহবায়ক প্রফেসর ডাক্তার এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ডা. বদরুল আলম, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা.মোহাম্মদ নাজমুল হুদা প্রমুখ।







আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]