প্রকাশ: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:২০ পিএম (ভিজিটর : ১৩১)
নীলফামারী ও লালমনিরহাট দুই জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর জেগে উঠা ধু-ধু বালু চর এখন কৃষকের বুনা ফসলে সবুজের দিগন্ত। যতদূর চোঁখ যায় ততদুর সবুজ আর সবুজ। বন্যা নেমে যাওয়ার পরপরই চরের চকচকে বালুতে কৃষক রবি শস্য চাষ করে দেখছে রঙিন স্বপ্ন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী জলঢাকা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা মিলেছে তিস্তা নদীর বুক চিরে জেগে উঠা চরের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রবি শস্য আবাদ করা হচ্ছে। প্রতি বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সাথে নুরি পাথর, কাকন যুক্ত বালি ও মাটি বয়ে আসায় দ্রুত তিস্তার তলদেশ ভরাট হয়ে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। বালুর সাথে পলি মাটির স্তর পড়ে। আর এসব চরকে আবাদি করে তুলছে তিস্তা নদী পারের মানুষ।
পলি মিশ্রিত এসব চরে ভুট্টা, কাউন,মিষ্টি কুমড়া, পেয়াজ, মরিচ, রসুন, বরবটি, মিষ্টি আলু, বাদাম,করলা, বেগুন, পুইশাক,লাউশাক,সহ বিভিন্ন রবি শস্য চাষে ধুম পড়েছে। বর্ষা মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব চরে রবি শস্য চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। আর তাই চোঁখ জুরানো সবুজ দিগন্ত আকাশ ছুঁয়েছে।
চরাঞ্চলের কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বর্ষায় আমন ধান তারা ঘরে তুলতে পারে নাই। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এলাকার তিস্তার চরে রবি শস্য চাষে কোমর বেঁধে লেগেছে।
ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের চর এলাকার কৃষক হাফিজুল ইসলাম, পারভীন বেগম,রফিকুল ইসলাম জানান, ধান আবাদ করে তেমন কোন লাভ হয় নাই। রবি শস্য আমাদের বেঁচে থাকার ভরসা, বিশেষ করে ভুট্টা আবাদ করে বেশি লাভ হয়।
প্রতি বিঘা জমিতে ৪০/৪৫ মণ ভুট্টা হয়।যার মুল্য পাওয়া যায় ৪০/৪৫ হাজার টাকা। ব্যয় হয় মাত্র ১০/১২ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভুট্টা চাষীরা বেশি লাভবান হয়। তাই তারা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মেতেছে রবি শস্য চাষে। তিস্তা নদীর চর এখন আর বোঝার উপায় নেই।