প্রকাশ: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:৪০ পিএম (ভিজিটর : ১৬২)
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনী শহরের মহিপাল অতিক্রম করার পর দুটি বাসে বোমা হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা হয়েছে।
যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার ফেনী সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১শ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ীবহরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে। হামলাকারীরা খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে যমুনা পরিবহনের একটি বাস ও চৌদ্দগ্রাম ট্রান্সপোর্টের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলার বাদি আবুল কাশেম মিলন ছাড়াও লক্ষ্মীপুর জেলার নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল মালেক ড্রাইভার, বাঞ্ছানগর এলাকার ফারুক ড্রাইভার, নোয়াখালীর চরজব্বর থানার হাজীপুর এলাকার হেদায়েত উল্যাহ ড্রাইভার ও সুধারাম থানার চর শুল্লকিয়া এলাকার হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলায় তৎকালীন সহকারি পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি মো: রাশেদ খান চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি করিম উল্যা বি.কম, সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পরশুরাম উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, ফুলগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন, দাগনভূঞা পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক খান, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিরাজুল ইসলাম, ফাজিলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, শর্শদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জানে আলম, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক, ধলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমেদ মুন্সি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিন ফিরোজ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জকে আসামী করা হয়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ফেনী সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মো: শাফায়াতের আদালতে মামলাটি জমা দেয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হতে পারে।