চট্টগ্রাম জজ কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে এবং ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী কওমি ছাত্র ঐক্য। এ সময় ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। আলিফ হত্যার বদলা নেওয়া না হলে অনতিবিলম্বে রক্ত নেওয়ার হুশিয়ারি দেয় সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পল্লবীস্থ সাড়ে এগারো সেতারা কনভেনশনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়।
বৈষম্য বিরোধী কওমি ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও সেক্রেটারি ছাত্রনেতা ত্বহা মাহমুদের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সার্বিক উপদেষ্টা জনাব আলহাজ্ব এ.কে.এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ, লেখক, গবেষক অধ্যক্ষ মুফতী আব্দুল মালেক।
এসময় বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা ফয়সাল আহমাদ জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল মাজেদ, মাওলানা শাহেদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ তাশবীহ, মাওলানা জাকির হোসেন, ছাত্রনেতা জুবায়ের আহমাদ, মুহাম্মাদ জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আদনান, রাকিবুল ইসলাম কুমিল্লা, মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ, ছাত্রনেতা শাহাদাত হোসেন, আযিযুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, আশিকুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় ‘জঙ্গি জঙ্গি, ইসকন জঙ্গি’, ‘এক দুই তিন চার, ইসকন তুই দেশ ছাড়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার সোনার বাংলায়, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলমানসহ সব ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লির ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
আন্দোলনকারীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার, ইসকন নিষিদ্ধ করা, ইসকনের অর্থের উৎস অনুসন্ধান ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী এ সংগঠনটির লক্ষ্যই হলো দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এখন দেশকে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই। সেইসাথে আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শাকিল, মোহাম্মদ নাবিল, জাবের আহমেদ নড়াইল, শিহাবুর রহমান, জিয়াম হাসান, মাসুম রাহাত, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, আদনান সামী, শাহী ইমরান, ইবরাহীম খলিল, হাফেজ হাসান পিসব এবং সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল সহ ছাত্র, শিক্ষক, আলেম, ইমাম, খতিব, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি ও প্রশাসনের বন্ধুগণ সহ নানা পেশার জনসাধারণেরা।