বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনুস অত্যন্ত সম্মানী লোক। দেশের প্রতিটি মানুষ তাকে সম্মান করে। তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের পর তাকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবেনা। ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগে। তিনমাসের মধ্যে অনেক কাজ করেছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আওয়ামীলীগের লোক এখন আর অত্যাচার করতে পারেনা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের সরকার গঠন হবে।”
বুধবার দুপুরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলার শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি প্রাঙ্গণে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। এর আগে তিনি সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর মজুমদার বাড়িতে পৌঁছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, “সারা দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে মায়ের মত জানে। তিনিও সারাদেশের মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন জীবন-সংগ্রাম করেছেন। তার স্বামী ছিলেন রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর প্রধান। স্বৈরাচার এরশাদ যখন জনগনের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিল তখন তরুণদের নিয়ে খালেদা জিয়া আন্দোলন করেছেন। সরকারে এসে তিনি দেশের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য বিনাবেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েরা পাশ করে চাকরীর ব্যবস্থা করেছেন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়। তাকে কী কষ্টে ছোট্ট একটি স্যাতসেঁতে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে ঠিকমত ঘুমাতে পারেননি। খেতে দেয়া হয়নি। যার কারনে তার অসুখ হয়ে যায়। ৬ বছর জেল খেটেছেন। তবুও তিনি মাথানত করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে এখনো মাথা উঁচু করে রয়েছেন। অথচ যারা মানুষ মেরেছে, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের সেই দস্যুরা পালিয়েছে।”
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু।
মজনু তার বক্তব্যে বলেন, “ফেনীর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। বন্যার্তদের উদ্ধার, খাবার বিতরন এমনকি পূণর্বাসনেও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা কাজ করছি। আজকে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন ও জনসাধারনের মাঝে ঢেউটিন বিতরন করছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এসব কাজ অব্যাহত থাকবে।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও জয়নাল আবদীন ভিপি, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সদস্য শাহানা আক্তার শানু ও আবু তালেব, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল যুগ্ম-আহবায়ক প্রফেসর এম এ খালেক, গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন প্রমুখ।