প্রকাশ: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১৫ এএম (ভিজিটর : ১৩৭)
শুরুতে সেই একই ভুলের মঞ্চায়ন। প্রথম ম্যাচে রক্ষণের নিস্ক্রিয়তায় গোল হজম করা বাংলাদেশ এবার অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনের ভুল পাসে পিছিয়ে পড়ল। সেই ধাক্কা সামলে দৃষ্টিনন্দন গোলে দলকে পথ দেখালেন মজিবুর রহমান জনি। আর ইনজুরি সময়ে পাপন সিং জয়সূচক গোলটি করেন। সোহেল রানার বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন আবাহনীর এই মিডফিল্ডার। মালদ্বীপকে হারিয়ে বছরের শেষটা রাঙাল বাংলাদেশ। কিংস অ্যারেনায় গতকাল শনিবার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। যা দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশে এসে জয় পেয়েছিল। ২৪তম মিনিটে আলি ফাসির গোলে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। ৪৩তম মিনিটে জনির একক নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। শেষ দিকে জয়সূচক গোলটি করেন আরেক মিডফিল্ডার পাপন।
একটি পরিবর্তন এনে শুরুর একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা; কাজেম শাহ কিরমানির বদলে মাঝমাঠে খেলান জনিকে। আস্থার প্রতিদান এই মিডফিল্ডার দিলেন দারুণ এক গোলে। দর্শক যখন ধরেই নিয়েছিল ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হতে চলছে, ঠিক তখন পাপন গোল করে গ্যালারি মাতিয়ে দেন। মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ ম্যাচে সিরিজ ড্র করে ইজ্জত রক্ষা হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। একটি পরিবর্তন এনে শুরুর একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা; কাজেম শাহ কিরমানির বদলে মাঝমাঠে খেলান জনিকে। আস্থার প্রতিদান এই মিডফিল্ডার দিলেন দলের জয়ে বড় অবদান রেখে। দুই দলের খেলাই শুরুতে ছিল সাদামাটা। অষ্টাদশ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শাণায় মালদ্বীপ; আগের ম্যাচে জয়সূচক গোল করা ফাসিরের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
২৪তম মিনিটে তপুর ভুলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ভুল পাসে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বল তুলে দেন ইব্রাহিম মাহাদির পায়ে। মাহাদির থ্রু পাস ধরে সাদউদ্দিন ও তপুর ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফাসির।
৪০তম মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ শাণায় বাংলাদেশ। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রাকিব হোসেনের ক্রসে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে ফাঁকায় থাকা শেখ মোরসালিনের শট যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। তিন মিনিট পর গোলের উল্লাসে মেতে ওঠে লাল-সবুজের গ্যালারি। সতীর্থের পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে, প্রতিপক্ষের অনেক খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের শট নেন মজিবুর রহমান জনি। ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক শারিফ হুসেইনের গ্লাভসকে ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায় বল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দারুণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে শট নেন রাকিব। লাফিয়ে আঙুলের টোকায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে বের করে দেন গোলরক্ষক। ৫৩তম মিনিটে নাইজ হাসানের ক্রসে দূরের পোস্টে থাকা রিজওয়ান আহমেদের হেডে বল গোলরক্ষক মিতুল মারমার গ্লাভস গলে বেরিয়ে গেলে দ্রুত ক্লিয়ার করেন সাদউদ্দিন। এরপর ইউসুফ হোসেনেইর বিপজ্জনক ক্রস ফিস্ট করে ফেরান মিতুল। ৭১তম মিনিটে জনি ও ফাহিমকে তুলে শাহরিয়ার ইমন ও চন্দন রায়কে নামান কাবরেরা। পাঁচ মিনিট পর মোরসালিনের বদলি নামেন পিয়াস আহমেদ নোভা। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হলো এই তরুণ ফরোয়ার্ডের। ৮২তম মিনিটে দূরূহ কোণ থেকে বাইরের জাল কাঁপান পিয়াস। ৮৪তম মিনিটে গোলের সবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন পিয়াস। ইমনের দূরপাল্লার শট গোলরক্ষকের গ্লাভস গলে বেরিয়ে যায়, কিন্তু সামনে থাকা পিয়াসের শট অভাবনীয়ভাবে পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। যোগ করা সময়ে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইমনের ক্রসে গোলমুখ থেকে প্লেসিং শটে জয়সূচক গোলটি করেন শেষ দিকে বদলি নামা পাপন। চলতি বছরে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ৬ হার ও দুই জয় নিয়ে বছর শেষ করল কাবরেরার দল। আগের জয়টি বাংলাদেশ পেয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে, ভুটানের বিপক্ষে। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ড সামনে রেখে এই দুটি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির প্রত্যাশা ছিল; কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের হারে সেই চাওয়া পূরণ হলো না। তারপরও, বছরের শেষটা অন্তত জয়ের হাসিতে করতে পারল কাবরেরার দল।