প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:১১ পিএম (ভিজিটর : ৩৭৫)
পরিবারের শাসনে একরোখা হয়ে ওঠে মাদ্রাসা ছাত্র সাদ বিন আজিজুর। প্রতিদিন হাত খরচের টাকার জন্য মা-পুত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। বাসা থেকে নিয়মিত টাকা চুরি যেত। এনিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে নিজের মাকে খুন করে লাশ রাখে ডিপ ফ্রিজে। এরপর বেডরুমের আলমারিতে কুড়াল দিয়ে কয়েকটি কোপ মেরে ডাকাতির নাটক সাজায় খুনি পুত্র।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়া আজিজিয়া মঞ্জিলে আলোচিত উম্মে সালমা হত্যাকাণ্ডের ক্লুলেস রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব। ঘটনার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে খুনি সাদ বিন আজিজুরকে (১৯) গ্রেপ্তারের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বীকারোক্তির তথ্য জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-১২, বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, নিহত উম্মে সালমা খাতুন দুপচাঁচিয়া জয়পুরপাড়ার মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজুর রহমানের স্ত্রী। খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাদ বিন আজিজুর (১৯) ওই দম্পতির পুত্র। এর আগে গত রোববার নিজ বাসায় খুন হন উম্মে সালমা।
র্যাব জানায়, নিহতের স্বামী আজিজুর রহমান দুপচাঁচিয়া দারুস সুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। তিনি উপজেলা মসজিদের খতিব হিসেবেও কর্মরত আছেন। জয়পুরপাড়া আজিজিয়া মঞ্জিলের বাসায় তার স্ত্রী খুনের ঘটনার পর এলাকায় ডাকাতিসহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে।
গত সোমবার দিবাগত রাতে কাহালু উপজেলার পাঁচপীর আড়োবাড়ী এলাকার দাদার বাড়ি থেকে নিহতের ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে হত্যাকারী সন্দেহে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে সাদ। সে দুপচাঁচিয়া দারুস সুন্নাহ কামিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। তাকে দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, ভিকটিম উম্মে সালমার সঙ্গে হাত খরচের টাকা কেন্দ্র করে পুত্র সাদ বিন প্রতিনিয়ত রাগারাগি করত। বাসা থেকে প্রায় প্রতিদিনই টাকা চুরি যেত। রোববার (১০ নভেম্বর) ঘটনার দিন মায়ের সঙ্গে টাকা নিয়ে পুত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মায়ের পিছন দিক থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুত্র সাদ। ওড়না দিয়ে বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে লাশ গুম করে। এরপর ডাকাতির নাটক সাজাতে কুড়াল দিয়ে বাবা-মায়ের বেডরুমের আলমারিতে কয়েকটি কোপ দেয় খুনি।