প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:১০ পিএম (ভিজিটর : ১২২)
গত ৫ মাসের সংসারে স্ত্রী -স্বমীর উপর রাগ করে চলে আসে বাপের বাড়ি। ক্ষিপ্ত স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আসে শ্বশুর বাড়ীতে। স্বামী-স্ত্রী বচসার একপর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসীর হাতে আটক হয় স্বামী। আর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন স্ত্রী।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত দশটার দিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পার্শবর্তী ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী গ্রামের মাহিমাগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
এদিকে এলাকাবাসীর হাতে আটক স্বামী নুরন্নবীকে রাতেই ডোমার থানায় নিয়েছে পুলিশ।
জানা যায় স্বামী নুরন্নবী নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের টুপামারী দক্ষিনপাড়া গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী শিল্পী বেগম জেলার ডোমার উপজেলার মাহিগঞ্জ ডাঙ্গা পাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের কন্যা।
জানা গেছে , নুরন্নবী(২৮) ও শিল্পী আক্তার(২৩) উভয়ে রাজধানীর একটি তৈরী পোষাক কারখানায় কাজ করার সময় সেখানেই তাদের পরিচয় এবং প্রেম। এরপর গত ৫ মাস আগে তারা বিয়ে করে। উভয় পরিবার এই বিয়ে মেনেও নেয়। এ অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃস্টি হয়।
এই কলহের কারনে দুই দিন আগে স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। ঘটনার দিন সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে নুরন্নবী তার স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে ফিরে নেওয়ার জন্য শ্বশুড় বাড়িতে যায়। কিন্তু স্ত্রী আর যাবেনা বললে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। এ অবস্থায় রাত দশটায় তার স্ত্রীর সাফ কথা সে স্বামীর সংসার করবেনা- তাই সে যাবেনা। এরপর ক্ষিপ্ত স্বামী ঘরে থাকা ছুরি হাতে নিয়ে স্ত্রীর গলায় ও ঘারে টান মারে এবং দৌড়ে পালাতে গিয়ে পাশ্ববর্তী তেলিপাড়া গ্রামের মানুষজন তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। এদিকে গুরুত্ব আহত স্ত্রী শিল্পীকে ডোমার উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার। সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর ) এ ব্যাপারে কথা বলা হলে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নূরনবী তার স্ত্রীর গলাকেটে দিয়েছে। সে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময়ে স্থানীয়রা তার শরীরে রক্ত দেখে শিমুলতলী তেলিপাড়া বাজার এলাকায় ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান।