প্রকাশ: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:২৭ পিএম (ভিজিটর : ১৬২)
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা ও দখলের চেষ্টা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে এ মামলা করেন গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি রাজধানীর শাহ আলী থানাকে এজহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার, একই চেম্বারের কনসালটেন্ট জীম যোবায়েদ, অবসরপ্রাপ্ত লে: কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হাসান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রাশেদ আলী, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান, নুরুজ্জামান মৃধা, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের উপদেষ্টা এস আব্দুর রশীদ, সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা ও গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য মিজানুর রহমান, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা তানন খান, গ্রামীণ ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা, গ্রামীণ ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল হক, গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম জাকারিয়া, হারুন অর রশীদ, তরিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল অফিসার গবীন্দ সাহা ও কৃষ্ণ কান্ত রায়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি আসামিরা গ্রামীণ কল্যাণের অফিসে উপস্থিত হয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এরপর তারা নিজেদের গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক মনোনীত গ্রামীণ কল্যাণের নতুন পরিচালক দাবি করে টেলিকম ভবনের পঞ্চম তলায় অবস্থিত গ্রামীণ কল্যাণের অফিসে প্রবেশ করে এবং সংরক্ষিত মূল্যবান নথি ও আসবাব পত্রের ক্ষতিসাধন করেন। এছাড়াও তারা গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ গ্রামীণের আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে হামলা ও দখলের চেষ্টা করেন।