প্রকাশ: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৭ এএম আপডেট: ০১.১১.২০২৪ ১১:৪৮ এএম (ভিজিটর : ১৪৩)
সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা শহরের নিকটবর্তী মরুদ্যান খাইবারের কাছে সন্ধানমিলেছে সেখানকার প্রাচীন সভ্যতার হারিয়ে যাওয়া একটি শহরের। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, অন্তত ৪ হাজার বছর আগের পুরনো এই শহর ।
হাজার হাজার বছর আগে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের যাযাবর পশুপালক জনগোষ্ঠী লোকালয় গড়ে তোলার প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন।সেই প্রচেষ্টারই একটি সাক্ষী এই হারিয়ে যাওয়া শহরটি।
সৌদি ও ফ্রান্সের একদল প্রত্নতাত্ত্বিকের যৌথ প্রচেষ্টায় সম্প্রতি আবিষ্কৃত শহরটির নাম রাখা হয়েছে আল-নাতাহ।
২ দশমিক ৬ হেক্টর আয়তনের আল-নাতাহকে ঘিরে রয়েছে ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ।প্রাচীরটির বয়সও শহরটির সমান। প্রায় ৫০০ বাড়িঘর পাওয়া গেছে আল-নাতাহে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বলছে, পত্তনের ১ হাজারবছর পর, অর্থাৎ যিশু খ্রিস্টের জন্মের ১ হাজার ৪০০ বছর আগে জনশূন্য হয়ে পড়ে আল নাতাহ।
প্রত্নতাত্ত্বিকের দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ফ্রান্সের বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ গিলাম শালোঁ।
আল-নাতাহর স্থাপনা এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নিদর্শন পরীক্ষা করে তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে যিশুখ্রিস্টেরজন্মের অন্তত ২ হাজার ৪০০ বছর আগে, অর্থাৎ আজ থেকে ৩ হাজার ৮০০ বছর আগে শহরটির পত্তন হয়েছিল। এই সময়টিহলো মানব সভ্যতার ব্রোঞ্জ যুগে প্রবেশের প্রারম্ভিককাল।
তথ্যে মতে অন্য কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর আক্রমণে এই শহরটি জনশূন্য হয়নি। কারণ সৌদির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের আগ্নেয়শিলা বা ব্যাসল্ট দ্বারা গঠিত পর্বতমালা এই শহরটির সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ছিল।
আল-নাতাহ যারা গড়ে তুলেছিলেন, সেই সময়ের হিসেবে স্থাপত্যবিদ্যায় বেশ অগ্রসর ছিলো। কারণ যেসব বাড়ির ধ্বংসাবশেষপাওয়া গেছে, সেসবের অনেকগুলোর গাঁথুনি এখনও মজবুত। এমনকি শহরটিতে বেশ কয়েকটি দ্বিতল বাড়িও ছিল।
এছাড়া শহরটিতে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, ব্রোঞ্জের তৈরী কুঠার ও ছোরা, তৈজসপত্র, চিনামাটির তৈরি পাত্র এবং মূল্যবানরত্নপাথর পাওয়া গেছে।