প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০০ পিএম (ভিজিটর : ৩০৯)
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের চাহিদা মতো টাকা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ন্যাশনাল ব্যাংক-টঙ্গীবাড়ী শাখা এবং বালিগাঁও ইউনিয়নের- বালিগাঁও বাজারের হাতেম প্লাজা মার্কেটে অবস্থিত ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী বাংক পিএলসি, বালিগাঁও শাখায় প্রায় ২ মাসেরও অধিক সময় ধরে গ্রাহকরা তাদের চাহিদা মত টাকা তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখার গ্রাহক মরিয়ম জাহান মনিকা বলেন, আমি ৫ হাজার টাকা তুলার জন্য ৪দিন যাবত চেক নিয়ে ব্যাংকে ঘুরতেছি কিন্তু ব্যাংক অফিসাররা বলতেছে টাকা নাই, দিতে পারব না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বালিগাঁও বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী বাংকের শাখায় খোজ নিয়ে জানা যায়, কোনো গ্রাহক ৫০ হাজার টাকা তুলতে আসলে, সাধ্যমতো সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার মতো তাদের সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে, তবে খুচরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকার উর্ধে দেয়া হচ্ছে না। এ ক্লান্তি লগ্নে সকলকে ধৈর্য্য ধরার আহব্বান করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে উপজেলার বালিগাঁও বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক- বালিগাঁও শাখার গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রায় দুই মাস ধরে তারা তাদের চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না। নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা তুলতে আসলে ৫-১০ হাজার টাকা সাধছে। এর বেশি নাকি তারা টাকা দিতে পারবে না। ব্যাংকে নাকি টাকার সংকট। আমার টাকা আমি নিবো এখানে সংকটের কি আছে? তবে সেই ৫-১০ হাজার টাকাও নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
এবিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক, টঙ্গীবাড়ী শাখার সেকেন্ড অফিসার বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা কোনো গ্রাহককে আর্থিক সাপোর্ট দিচ্ছি না। কতদিন সময় লাগতে পারে ক্লান্তিলগ্ন কাটিয়ে উঠতে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কতদিন লাগবে সেটা হেড অফিস ভালো জানে। আমরা এবিষয় কিছু জানি না।
এবিষয়ে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বালিগাঁও শাখার ম্যানেজার বলেন, সারাদেশে আমাদের ব্যাংকের মতো আরও ৮-১০টা ব্যাংকে টাকা সংকট রয়েছে। প্রথমদিকে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারলে বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকরা আতঙ্ক নিয়ে ব্যাংকে আসছেন। যে কারণে টাকার সংকট থাকায় তাদের চাহিদা ঠিকমতো পূরণ করা যাচ্ছে না। এখানে যতটুকু প্রয়োজন সেটা সেন্ট্রাল থেকে পাচ্ছি না। আশা করছি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব এবং গ্রাহকদের চাহিদা পুরণ করতে পারব।