প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৩৭ পিএম (ভিজিটর : ২২৫)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার সরকারি উপজেলা হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকট, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও ঔষধ বিপণন প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে চিকিৎসাসেবা ব্যহত ও রোগীদের বিড়ম্বনার ব্যপক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এ.কে.এম রাসেল বলেন, ‘যাঁরা চিকিৎসা দেবেন, সেই চিকিৎসকেরই বড় সংকট। চিকিৎসকের পদ খালি ২১টি, কাজ করছেন মাত্র ৯ জন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অর্ধেকের বেশি নেই। এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মির পদ ৪ জন থাকলেও বর্তমানে ১ জন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মি দ্বারা চলছে পরিষ্কারের কাজ।
উল্লেখ্য, ১০০ শয্যার উন্নতিকরণের কাজ চলমান থাকায় হাসপাতারের মধ্যে একটি পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। খুব খারাপ অবস্থার মধ্যদিয়ে রোগী ভর্তি ও জরুরী সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নির্মাণাধীন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীর গতিতে চলছে নতুন ভবনের কাজ।
রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, ‘সরকারি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য চিকিৎসা যন্ত্র-পাতিসহ সব কিছুর যোগান দিলেও দায়িত্বরত চিকিৎকদের উদাসীনতা, সময়মত না আসা ও অনিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়ায় রোগীরা ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। সরকারের দেয়া উন্নতমানের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই কোন প্যাথোলজি সেবা। এক সময় অপারেশন থিয়েটারে প্রতিদিন নিয়মিত অপারেশন হলেও এখন নেই কোন অপারেশনের ব্যবস্থা। সরকারের দেয়া কোটি টাকা মূল্যের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন থাকলেও রোগীরা পাচ্ছে না কোন এক্সরে সেবা’।
গত কয়েকদিন ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের টয়লেটের বেহাল অবস্থা, ভর্তি রোগিদের রুমগুলি অপরিষ্কার। হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী দেখার টিকিটের মূল্য তিন টাকা হলেও ৫, ১০, ২০ টাকা করে যার কাছ থেকে যা পারছেন তাই নিচ্ছেন।
সেবা নিতে আসা রোগী আবদুস সত্তার (৫৬) বলেন, ‘হাসপাতালের রোগীকে দেয়ার খাবার খুবই নিম্ন মানের যা খাওয়া উপযোগী না। রুমগুলো অপরিষ্কার এছাড়াও ঠিক মতন হাসপাতালের নার্সদের কাছ থেকে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না’।
