প্রকাশ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০২ পিএম (ভিজিটর : ৮৩)
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে নিখোঁজের পর পাওয়া এএসআই সদরুল আলমের মাথায় ‘বড় আঘাত’ সনাক্ত করেছে চিকিৎসকেরা। বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্ত করা বোর্ডের এক চিকিৎসক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেলা পৌনে এগারটার দিকে ওই চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছেন সদরুল আলমের মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যেটা দেখে মনে হয়েছে বড় ধরনের আঘাত। একারণে প্রচুর রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।
গত সোমবার ভোর চারটার দিকে উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে বেআইনি ভাবে ইলিশ মাছ ধরতে যাওয়া দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার নিখোঁজ হন। তারা হলেন কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন।
এদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা এএসআই সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর তার লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
এদিকে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার অভিযোগে কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টায় হামলায় আহত কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক(এসআই) নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০/২৫ জনকে।
জানতে চাইলে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন- থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মামলার স্বার্থে তাদের নাম বলা যাচ্ছে না।
আজ বুধবার সকাল দশটায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নিহত সদরুল আলমের লাশ চিকিৎসকদের একটি বোর্ড ময়না তদন্ত করেন। বোর্ডের প্রধান ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম। বাকি দুজন চিকিৎসক ছিলেন রুমন রহমান ও ইকবাল হোসেন। লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সদরুলের লাশ কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বেলা সাড়ে এগারটায় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম,অপারেশন ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ জানান কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা সদরুল আলমের মৃত্যু হয়েছে।
এজন্য যথাযথ সম্মান জানিয়ে লাশ পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়া হবে। দাফনের আগেও পাবনা জেলা পুলিশ থেকেও তাকে সম্মান জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন,নিহত মুকুল হোসেনের লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তার ময়না তদন্ত করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তা মুকুল হোসেনের লাশ আজ সকালে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মানদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা।