প্রকাশ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২৮ পিএম (ভিজিটর : ১১৬)
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ শহরের শহীদ মিনার মঞ্চে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান লিটন।
এসময় তিনি গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে নালিতাবাড়ীতে ১৪৪ ধারা জারিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপি'র সাবেক আহবায়ক নুরুল আমিনের সংবাদ সম্মেলনে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও উদ্দ্যেশ প্রণোদিত সংবাদ সম্মেলন আখ্যায়িত করে বলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নুরুল আমিন সংবাদ সম্মেলন করে কিছু ভারসম্যহীন অসত্য বানোয়াট কথাবার্তা বলেছেন। যাহা দলের ভাবমূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে তার প্রতিবাদেই আমাদের সংবাদ সম্মেলন। সম্মেলনে উপজেলা প্রসাশনের প্রতি তাদের পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এসময় শহর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ভিপি, বিএনপি নেতা রিপন তালুকদার ও যুবদলের আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিম, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ, ছাত্রদলের আহবায়ক আপন সরকার প্রমোখ উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে শেরপুরের ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ২৭/১০/২৪ সকাল ৮.০০ মিনিট হতে রাত ১২.০০ মিনিট পর্যন্ত নালিতাবাড়ীতে ১৪৪ জারি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।
১৪৪ ধারা জারি নিয়ে উপজেলা বিএনপি'র সাবেক আহবায়ক নুরুল আমিন ২৮ অক্টোবর ২৪ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় নালিতাবাড়ী উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ আসামী হিসেবে লুকায়িত ছিলেন। কিন্তু গত ২৪ অক্টোবর ইউএনও মাসুদ রানা তাদের ফোন করে পরিষদ ভবনে ডেকে এনে সমন্বয় সভা করেন। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি গোচর হলে আমরা এর প্রতিবাদে ২৭ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করি। সেই সমাবেশকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ইউএনও ২৭ অক্টোবর ১৪৪ ধারা জারি করেন ও অবৈধ বালু ব্যবসায় বিএনপি জরিত আছে বলে মিথ্যাচার করেন যার ফলে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করে। বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশ বানচাল ও মিথ্যাচারের কারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা ও সহকারী কমিশনার ভূমি আনিসুর রহমানের অপসারণ চেয়ে ৭ দিনের সময় বেধে দেন বক্তরা।
ইউএনও মাসুদ রানা এ ব্যাপারে জানান এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। আমি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই ১৪৪ ধারা জারি করেছিলাম।