চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মেয়াদকাল নির্ধারণের কোনো সুযোগ নেই। এই সরকারের কাছে থেকে প্রত্যাশা, সবধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিকার ব্যবস্থা। যার ব্যাপ্তি অনেক প্রশস্ত। এজন্যই তাকে বারবার বলতে হচ্ছে, ‘সংস্কারের কাজে সময় লাগবে’। ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। তারপরও এই সময়ে মানুষের চাওয়া, জীবনযাপন যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকার পর্যায়ে না যায়। নিরাপত্তার অভাবে সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠায় যেন দিন কাটাতে না হয়। অর্থাৎ জনজীবনে স্বস্তি।ছাত্র জনতার গণ-আন্দোলনে বিজয়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট ২০২৪-এ অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসর সরকারের কাজ। এই প্রত্যাশা বিদ্যমান কালচারের রাজনৈতিক দলগুলোর। যদিও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মত ভিন্ন বলে ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে বরাবর বলা হচ্ছে। তারা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, অপরাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট এই দেশ একটি নতুন বাংলাদেশে পরিণত হবে। এটাই এখন তার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনকারী নাগরিক প্রত্যাশা।
ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছিল। ভোট চুরির নির্বাচন করে, ভোটারবিহীন নির্বাচন করে, বিরোধী দলের প্রার্থী ছাড়া নির্বাচন করে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫২ জনকে এমপি বানানোর নির্বাচন করে পর পর চারবার তারা ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে প্রতিবারই পূর্ণ মেয়াদ কাটিয়েছে। বিরোধী দল ও জোট আন্দোলন করে কিছুই করতে পারেনি। আন্দোলনের ডাকে মানুষও তেমন একটা মাঠে নামেনি। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে মানুষ যত দলীয় সরকার দেখেছে তাদের চেহারা কমবেশি একই রকম ছিল।
এক সরকারের পতনের পর নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কখনই পূরণ হয়নি। সবাই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পথে হেটেছে। প্রতিটি সরকারই পূর্ববর্তী সরকারের চেয়ে অধিক দলীয়করণ, একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত থেকেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সবার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য ছিল।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে লৌহমানবীকে ১৫ বছর আন্দোলন করেও ক্ষমতা থেকে নামাতে পারিনি, ছাত্র-জনতার এক মাসের গণ-আন্দোলনে তিনি জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
উন্নয়নের গল্পের চেয়ে গুণগত রাজনীতিই যে মানুষের প্রত্য্শাা এর মধ্য দিয়ে সেটিই প্রমাণিত। রাজনীতি সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রাজনীতিতে যতক্ষণ সমাজের অপেক্ষাকৃত ভালো মানুষগুলো সামনে না আসতে পারবেন, ততক্ষণ ভালো কিছু সম্ভব নয়। সেই পরিবেশ কেউ তৈরি করে যাক এ প্রত্যাশা এখন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের।
কিন্তু দেশের অর্থনীতি ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। দেশের রাজনীতিতে নৈতিকতার মান ক্রমশ নিম্নগামী। সুস্থ নির্বাচনের সংস্কৃতি অতীত হয়ে গেছে। পেশাজীবীরা বিভক্ত নগ্ন দলীয়করণ ও সুবিধাবাজিতে। এমন এক পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি বাংলাদেশের জন্য কি করতে পারেন সেটা প্রমাণ করার জন্য তার এখতিয়ার কতটা।
সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস যাদের সমর্থনে দায়িত্ব নিয়েছেন তার চেয়েও বড় কথা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এখন ভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজনৈতিক সরকারের কাছ থেকে না পাওয়ার তৃষ্ণা মিটানোর আশা নিয়ে মানুষ চেয়ে আছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি,পরিবারতন্ত্র, বিদেশে টাকা পাচারে দেশের মানুষ হতাশ। তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি অপরিহার্য। দরকার অর্থবহ ইতিবাচক সমন্বিত পরিবর্তনের প্রয়াস। উন্নত বিশে^র কাছে গ্রহণযোগ্য স্বনামখ্যাত একজন ব্যক্তির হাত ধরে নষ্ট সিস্টেমের পরিবর্তনের অন্তত শুরুটা হোক, এটাই মানুষের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি আর দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এ দেশের নষ্ট রাজনীতি। যা শুধুমাত্র গত ১৫ বছরেই মারাত্মক হয়ে ওঠেনি, একবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই হচ্ছে। দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাজনীতির বিশেষ মহলগুলো বিশেষ মানুষদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। এই অনাচারের কোনো জবাবদিহি ছিল না।
এ অবস্থার পরিবর্তন করে মানুষ একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র চায়। মানুষ জানতে চায়, নির্দিষ্ট কোনও কর্মের জন্য দায় কার এবং সেই কর্মের পরিণতির জন্য কে কিভাবে দায়ী হচ্ছে। এ বিষয়ে সরল সূত্রটি হলো (১) ব্যক্তিটি কোনও কর্মের জন্য কার্যকর এবং নৈতিকভাবে দায়বদ্ধ হলে, (২) তার কর্মের কারণে কিছু ক্ষতি হয়ে থাকলে, এবং (৩) কৃতকর্মের জন্য কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির যদি কোনো বৈধ অজুহাত না থাকে; তবে অবশ্যই তারজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জবাবদিহি নিশ্চিত করা। সংকীর্ণ অর্থে- কোনো কর্মের জন্য ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থার কাছে জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা।
জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে তিনটি অপরিহার্য প্রসঙ্গ। সত্যের প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার এবং সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিকার ব্যবস্থা। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য আইনি ও চর্চায় ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। যা কোনো রাজনৈতিক সরকার করেনি, করবেও না। তাই বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কাজটা করে যাক এটাও মানুষের প্রত্যাশা।
শেখ হাসিনার বিষয়ে অবশ্যই সরকার কঠিন অবস্থানে থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।
একথাও ঠিক যে বঙ্গবন্ধুকে একটি দল নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। যা তাঁকে আবারও অপমানের জায়গায় নিয়ে গেছে। এসব বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানটিও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে থাকবে।
১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়া এবং না পাওয়া দলের প্রাপ্ত ভোটের হিসাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দেশের অন্তত অর্ধেক ভোটার এসব নির্বাচনে বিজয়ী দলটিকে সমর্থন দেয়নি! আইনের মারপ্যাঁচে উৎরে গেলেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংকের হিসাবে এটা আর যাই হোক ‘জনগণের প্রকৃত ম্যান্ডেট নিয়ে’ দেশ চালানো নয়। এ সমস্যার সমাধানে জাতীয় সংসদের গঠনে ‘পদ্ধতিগত’ এবং ‘কাঠামোগত’ পরিবর্তন হওয়া সচেতন নাগরিক মাত্রেরই বহুদিনের প্রত্যাশা।
জাতীয় সংসদ দেশের আইন সভা। এর সদস্যদের কেবলমাত্র আইন, বিধিবিধান ও নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকার কথা। তাদের কাজ জাতীয় ইস্যু নিয়ে। তারা নিয়মিত আইনসভার অধিবেশনে যোগ দেবেন। অধিবেশন স্থগিত থাকাকালে সংসদে পাস হওয়া আইন, বিধান ও আদেশ নির্দেশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো পালন করেছে কি করছে না, তা তদারক করবেন।
স্থানীয় সরকার একটি পৃথক বিভাগ, যা পরিচালিত হয় নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে। এলাকার উন্নয়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ, অবকাঠামো, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি দেখার জন্য তারাই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এসব দায়িত্ব ও কাজকর্ম তাদেরই সামলানোর কথা। কিন্তু আইনসভার সদস্যদের স্থানীয় সরকারের কার্যক্রমে জড়িত হওয়াটা কাঙ্খিত নয়। দেশের কাঠামো গত উন্নয়নে অংশিদার হয়ে দুর্নীতির বিদ্যমান এই সুযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাটাও আর একটি গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন প্রশ্নে মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে বিরাজমান বিশাল ব্যবধান ঘুচানো। ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র চায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবার পথ সুগম করতে। তারা নির্বাচন চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দেশের মানুষও এটাই চায়। এই চাওয়া পূরণ না করে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ড. ইউনুস সরকারের সামনে প্রায় অসম্ভব।
অথচ এই ব্যবস্থাকে স্থায়ী রূপ দেয়াটা অতি কঠিন কাজ। বিশে^র কোন গণতান্ত্রিক দেশ এক মুহূর্তের জন্যও অনির্বাচিত সরকারের শাসনাধীনে যায় না, যেতে পারেনা। এই ব্যত্যয় হওয়া মাত্রই দেশ তার গণতান্ত্রিক চরিত্র হারায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক গণ্য হতে পারে। কিন্তু একদিন বা এক মাস, কিংবা বছরের জন্যও অনির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত হলে রাষ্ট্র আর গণতান্ত্রিক থাকেনা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার এই মৌলিকত্বের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাাদেশের সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সম্বলিত অংশ সর্বোচ্চ আদালত থেকে বাতিল হয়ে গেছে।
বিষয়টি আদালতে গিয়েছিল ২০০১ সালে গঠিত বিএনপি সরকারের আমলেই। কিন্তু মামলার ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরে জনমতের বিপক্ষে যাওয়ার ঝুঁকি নেয়া থেকে বিএনপি সরকার বিরত ছিল। তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান এবং আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বার বার সময় ক্ষেপন করে তখন আদালতে এর শুনানী হতে দেননি। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর হাসিনা সরকার নিজেদের জন্য এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। তারা মামলাটি নিষ্পত্তি করতে উদ্যোগী হওয়ায় অনিবার্য রায়টিও শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ভাবে বিতর্কিত হয়ে যায়।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বচনের বিধান পুন:প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে জনসমর্থিত দাবী পূরণ তাই সবচেয়ে কঠিন বিষয় হিসেবেই গণ্য হতে বাধ্য। একবার দুবার নয় চার চার দফায় সর্বোচ্চ আদালত থেকে নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া রায় উপেক্ষা করার নৈতিক প্রশ্ন এরসাথে জড়িত। কিন্তু নির্বাচন কালীন স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে এর পূন:প্রবর্তন গণতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক বলে ভবিষ্যতে আবারও বাতিল হবে এটা অবধারিত সত্য হিসেবে নিশ্চিত হয়ে আছে। এই সরকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিচ্যুতি হিসেবে গণ্য হওয়ার ঝুঁকি তারা নিতে আগ্রহী কিনা সেটিও তাদের জন্য অন্যতম বিবেচ্য বিষয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা এবং তার ম্যান্ডেট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক আছে এবং থাকবে। তারপরও গণতান্ত্রিক উত্তরণের আগে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট এবং শ্রম অধিকার নিয়ে ফলপ্রসূ উদ্যোগ দেশের প্রতিটি মানুষের চাওয়া।
মোট কথা মানুষের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করলেই এ দেশের দীর্ঘদিনের একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি দূর হবে না। অতীতের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা না নিয়ে প্রতিশোধ পরায়নতা নিয়ে ব্যস্ততা প্রকৃত দায়িত্বকে উপেক্ষা করার একটি বিশ^জনীন পথ। যা দায়িত্বশীলতার ঘাটতিকে প্রকট করে তুলতে থাকলে সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত করে তোলে। মানুষ চায় এমন একটি ফর্মুলা, যা ব্যবহার করে স্থায়ী গণতন্ত্রের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতে পারে। মানুষের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকতে পারে এমন একটি রাজনৈতিক অবকাঠামো, যার সুবাদে দীর্ঘদিনের লালনকৃত দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্র, অর্থপাচারের রাজনীতি ইত্যাদি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। প্রকৃত গণতন্ত্রের রাজনীতির আত্মপ্রকাশ ঘটে।