প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৫২ পিএম (ভিজিটর : ১৯৯)
চট্টগ্রামে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তা কর্মসূচি উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষিবিভাগের কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় এমন সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম জেলার ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বসতভিটায় শীতকালীন সবজির জন্য জেলার ১৯ হাজার কৃষক ও কৃষি প্রণোদনার বীজ, সার ও চারা বিতরণের অংশ হিসেবে ৪৭ হাজার কৃষক সহয়তা পাবেন। সহায়তার পরিমাণ ১৮ কোটি ২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলাগুলোয় কৃষিতে সর্বমোট ৩৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১৫টি উপজেলার মধ্যে মিরসরাই, ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ড, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশ উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ সাত উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় ১ হাজার ৯২২ হেক্টর সবজি ক্ষেত। এছাড়া অন্যান্য উপজেলাগুলোতে রোপা আমন ও সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় কৃষি বিভাগ। এরই প্রেক্ষিতে জেলার ৬৬ হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষককে বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম প্রণোদনায় বসতভিটায় শীতকালীন সবজীর জন্য জেলার ১৯ হাজার কৃষক ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকার সহায়তা দেওয়া হবে। এ প্রণোদনায় প্রতিজন কৃষকে ৮ ধরনের শীতকালীন সবজীর ২০ প্যাকেট বীজ ৫২০ টাকা (১.২৩০ কেজি বীজ), চারা উৎপাদন রোপণ বাবদ এক হাজার টাকা নগদও আনুষাঙ্গিক খরচ ৩ টাকা ধরে মোট এক হাজার ৫২৩ টাকা দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৯২ হাজার কৃষক প্রণোদন পাবেন এ প্যাকেজে।দ্বিতীয় প্রণোদনায় সমতল ভূমিতে চাষাবাদের জন্য বীজ, সার ও চারা বিতরণের অংশ হিসেবে জেলার ৪৭ হাজার কৃষককে মোট ১৫ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে।এ প্রণোদনায় এক হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ৮ ধরনের বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার ২০ কেজি, নগদ এক হাজার টাকাসহ পরিবহন ব্যয়সহ একেকজন কৃষক মোট ৩ হাজার ২২০ টাকা মূল্যে সহায়তা পাবেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলা অফিসে সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে বসতভিটায় শীতকালীন সবজি আবাদের জন্য ১৯ হাজার কৃষককে জনপ্রতি ৮ ধরণের শীতকালীন সবজীর ২০টি প্যাকেট বীজ যার মূল্য ৫২০ টাকা (১.২৩০ কেজি বীজ) ও চারা উৎপাদন রোপণ বাবদ এক হাজার টাকা নগদ আনুষাঙ্গিক খরচ ৩ টাকা ধরে মোট এক হাজার ৫২৩ টাকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে সমতল ভূমির এক বিঘা সমপরিমাণ জমিতে চাষাবাদের জন্য ৪৭ হাজার কৃষককে জনপ্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ৮ ধরনের বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার ২০ কেজি, নগদ এক হাজার টাকাসহ পরিবহন ব্যয়সহ মোট ৩ হাজার ২২০ টাকা মূল্যের সহায়তা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. ওমর ফারুক ভোরের ডাককে বলেন, সা¤প্রতিক বন্যায় চট্টগ্রামের জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন ও সবজির আবাদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর্থিক দুই ধাপে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয় এমনটি বলেছেন তিনি।