প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৪২ পিএম (ভিজিটর : ১৫০)
শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে 'For Freedom and Dignity: The Legacy of Abrar Fahad Lives On' শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাবি শিবির সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, "আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ফলে শিবির ট্যাগ দিয়ে ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ কর্তৃক রাতভর নির্যাতনে শহীদ হন আবরার ফাহাদ। দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে আমাদের এই জাতিকে নিঃশেষ করা হয়েছে। এর ফলেই আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী চেতনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের নতুন বাংলাদেশ। ধারাবাহিক অনেক ঘটনার মধ্য দিয়েই জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এর অন্যতম নায়ক শহীদ আবরার ফাহাদ।"
ঢাবি শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, "আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছিলো, তারাই ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে যাদেরই আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরকেই বরণ করতে হয়েছে মৃত্যুর মতো নির্মম পরিণতি। আবরার ফাহাদ হত্যার দায় কেবল উক্ত ঘাতক দলেরই না। এই দায় তাদেরও যারা ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত থাকলেই নিপীড়ন করাকে বৈধতা দিয়েছিল।"
এসময় তিনি আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পূর্বে বুয়েটে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলামের উপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, সেদিন কেউ প্রতিবাদ করেনি। এর ফলেই আবরার ফাহাদকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার বৈধতা তৈরি হয়ে যায়। কাজেই যারা শিবিরের উপর নিপীড়নের ব্যাপারে নিরব ছিল তারাও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির ঢাবি শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমীন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শহীদ আবরার ফাহাদসহ জুলাই বিপ্লবের সকল শহীদ ও তাদের পরিবারের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।