প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩৮ পিএম (ভিজিটর : ৬৪০)
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নয়া স্বাধীনতার বাংলাদেশে। আধিপত্যবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের যাঁতাকল থেকে মুক্ত হওয়া সদ্য বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় কথামালা হচ্ছে আমরা স্বাধীন। সরকার সবসময়ই ঘোষণা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে যে, দেশ জনগণ পুরোপুরি স্বাধীন, এখানে যা ইচ্ছে তাই বলতে পারবে সবাই স্বাধীন থাকবে। কিন্তু স্বাধীন বলেই কি সবকিছু স্বাধীন বলা যায়? সবকিছুই কী স্বাধীনতার আওতাধীন? রাষ্ট্র - ইতিহাস - ঐতিহ্য - মূল্যবোধ সহ যে কোন কিছুই তোয়াক্কা না করে সবকিছুই কি স্বাধীন বলা যায়? কিংবা অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ণ না হয়ে অথবা সার্বভৌমত্ব সুসংহত না করে কি কোন রাষ্ট্রকে পুরোপুরি স্বাধীন হিসেবে বিবেচনা করা যায়? অবশ্যই তা যায় না...
প্রতিটি দেশের মানুষের ভাষা - বর্ণ - ধর্ম - মানচিত্র - পতাকা - রুচি ও খাদ্যাভ্যাস যেমন আলাদা ঠিক তেমনি স্বাধীনতার সংজ্ঞাও তেমনি ভৌগোলিক ভিন্নতা ভেদে তার ভিন্ন থেকে ভিন্নতর। সুতরাং স্বাধীনতার একটি সংজ্ঞাগত এবং সে আনুপাতিক প্রায়োগিক দিকটাও আলাদা।
যে কোন দমন - পীড়নকেই পশ্চিমা কিংবা অধিক স্বাধীনতাকামীরা বিরোধিতা করে থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় দমন - পীড়ন না করলে বাংলাদেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অর্থবহ হবেনা এবং জনগণও তার স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে না।
বাংলাদেশকে সঠিক পথে রাখতে নিন্মোক্ত দশটি দমন - পীড়ন যৌক্তিক এবং খুবই প্রয়োজনীয় :
এক. ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতা দমন। দুই. সব সেক্টরে বৈষম্য দমন। তিন. দূর্নীতি দমন। চার. মানিলন্ডারিং দমন। পাঁচ. মাদক দমন। ছয়. ফ্যাসিবাদ দমন। সাত. আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ দমন। আট. অপসংস্কৃতি দমন। নয়. ধর্মীয় উগ্রবাদ দমন। দশ. ধর্ম-বিদ্বেষবাদ দমন।
এই দশটি দমনে কোন স্বাধীনতা হরনের আওতায় পড়েনা বরং স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে এই দমন অনিবার্য। তবে হ্যাঁ এই দমন পীড়ন হবে আইনি প্রক্রিয়াই। আর এই আইনী প্রক্রিয়াতেও অনেকাংশেই কঠোরতা থাকতে হবে নতুবা আইনী দমন প্রক্রিয়াই সঠিক পদক্ষেপ ব্যর্থ হতে বাধ্য। তবে এর জন্য চাই দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ঐক্য।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক