প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৩৩ পিএম আপডেট: ০৬.১০.২০২৪ ৭:১০ পিএম (ভিজিটর : ৩২৫)
ভোলার তজুমদ্দিনে ফেসবুকে ফেক আইডির মাধ্যমে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ফকরে আজম পলাশ স্বৈরাচার সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদের পাশাপাশি সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে বিভিন্ন তথ্যের অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। এতে করে একটি মহল তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় গোপন করে ফেইক আইডির মাধ্যমে একজন প্রতিবাদী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় বিব্রত স্থানীয় সুশীল সমাজ। তারা এসকল সাইবার সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
দৈনিক সমাচার পত্রিকার তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ফকরে আজম পলাশ এর বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় পরিচয়বিহীন আইডি থেকে যেসব মিথ্যে গল্প ছড়ানো হচ্ছে তা রীতিমত আমাদের সাংবাদিক মহলকে বিব্রত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কবি ইলিয়াছ সানী জানান, এভাবে একজন প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের উপর সাইবার হামলা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এসকল অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক ফকরে আজম পলাশ জানান, সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল আমাকে নিয়ে কিছু ফেইসবুক ফেক আইডি দিয়ে বিভ্রান্তিকর লেখা ও ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুয়া আইডি ও পেইজ দিয়ে আমার ছবি এডিটিং করে কাল্পনিক ও মনগড়া আজে বাজে লেখা পোস্ট করে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যেসব আইডি থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেসব হলো সাইবার গ্রুপ, তজুমদ্দিন উদ্দিনের সংবাদ, বিএনপি থেকে হাইব্রিড হটাও, হক কথা সহ আরো কয়েকটি বেনামী আইডি। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে গত ০৩ অক্টোবর তজুমদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নং ৯০।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, তিনি থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্তনাধীন আছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ফেক আইডি দিয়ে সাংবাদিক ও একজন সাংস্কৃতিক সংগঠকের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব, তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটি ও তজুমদ্দিন শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।