ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে আজ ময়মনসিংহের পাগলা থানার লংগাইর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসররা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, খুন করেছে। দেশের সম্পদ লুট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়ে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।
’দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশ ও মানুষ রক্ষার আন্দোলনে নামায় বেগম খালেদা জিয়াকে কবর সদৃশ্য একটি পরিত্যক্ত কারাগারে নিক্ষেপ করে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হাত-পা বেঁধে গর্তে ফেলে দিয়ে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আসাদের নেতা তারেক রহমান বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে দেশব্যাপী সুসংগঠিত করে ১৭ বছর যাবত দীর্ঘ সংগ্রাম করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। জুলাইয়ে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেড় হাজারের অধিক শহীদদের আত্মত্যাগ ও হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্ব বরণের মাধ্যমে হারানো স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
খুনি হাসিনা ও তার দোসররা আওয়ামী লীগকে চোর, ডাকাত আর লুটেরা বাহিনীতে পরিনত করেছে। দেশের মানুষকে ভয় দেখিয়ে জিম্ম করে ফেলেছিল। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে মানুষ মুক্তির স্বাধ পেয়েছে। এ বিপ্লব বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভয় দেখিয়ে নয়, ইনমাফ ও ভালবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন'। তারেক রহমানের স্পস্ট বার্তা হলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটের মাধ্যমে একটি জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেয়া, ন্যায় বিচার, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কোনো সুবিধাবাদী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দলের নাম করে কোনো অন্যায় বা সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত হলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না, সে যেই হোক। বহিস্কারসহ প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
শেখ হাসিনা ও তার দোসর বাবেল অনেক খুন করছে, গুম করেছে, কমল- শাকিল-কবিরসহ অনেককে খুন করেছে, অনেকের হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমার বাড়ি-ঘরসহ অনেকের বাড়ি, ব্যবসা-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। খুনি হাসিনা, বাবেলসহ আওয়ামী অস্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায় সর্বস্তরের মানুষ। আমাদের অনেকে জেল খেটেছেন, জঙ্গলে পালিয়ে থাকতে হয়েছি, খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে। গফরগাঁও -পাগলায় যারা চাঁদাবাজি , মাদক, দখলবাজি, লুটপাট, হামলা , নির্যাতন, অন্যায়, অত্যাচার , জুলুম-নিপীড়ন করছে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তবে আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না। সাধারন মানুষের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। ঘরে ঘরে বিএনপির দূর্গ গড়ে তুলতে হবে।
মাওলানা আব্দুল বারেক সাহেবের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে পাগলা থানা বিএনপির সদস্য , পাগলা থানা জাসাসের আহ্বায়ক রেজাউল হক সিদ্দিকী খোকন, বিএনিপির সদস্য আমিনুল ইসলাম বাবুল , এডভোকেট জহিরুল ইসলাম নিঝুম, ইয়াসিন খান, উজ্জ্বল আহমেদ পাপ্পু, বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস নবু, রইস উদ্দিন, মশিউর রহমান জিলানী, ফরিদ খান, আব্দুল আওয়াল, বেলাল আহমেদ, জিয়াউল হক স্বপন, কবির ফকির, সুলতান সর্দার, ইদ্রিস মিয়া, আব্দুল হেলাল, নবী হোসেন, পাগলা থানা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুজন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আলম পলাশ , মোশাররফ হোসেন, কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী নুর রশিদ ঢালী খোকন, গফরগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক আনার ঢালী, যুবদল নেতা চন্দন সরকার, আফসার উদ্দিন, মোহাইমিনুল ইসলাম জনি, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক, আবু সায়েম ফরহাদ, আবু নাইম আরাফাত , আবদুল্লাহ খানসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ কয়েক হাজার সর্বস্তরের ছাত্র-যুবক- জনতা।