প্রকাশ: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৫২ পিএম আপডেট: ০২.১০.২০২৪ ৪:৫৭ পিএম (ভিজিটর : ৫৩৫)
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানা ভবন, অফিসার ইনচার্জ এর বাসভবন সহ অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতকারীরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মুখে পরে টঙ্গীবাড়ী থানা।
এ ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশের এসআই(নিরস্ত্র)মোঃ আমিনুল হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও অজ্ঞাত হিসাবে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শত জনকে আসামির কথা উল্লেখ রয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, বেআইনি জনতা বদ্ধে হাতে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া সরকারী প্রতিষ্ঠান টঙ্গীবাড়ী থানা ভবন, অফিসার ইনচার্জ এর বাসভবন সহ অন্যান্য কোয়ার্টারে অনধিকার প্রবেশ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল পোড়াইয়া, সরকারী-বেসরকারী অস্ত্র, গোলাবারুদ ভাংচুর ও লুট করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে সরকারী কাজে বাধাদান, ত্রাসের সৃষ্টি ঘটাইয়া ধ্বংসাত্মক অন্তর্ঘাতী কার্য করে বিভিন্ন মালামাল চুরি/লুন্ঠন করা সহ ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করার অপরাধ।
মামলা এজহার সুত্রে আরো জানা যায়, ৫ আগষ্টে থানা স্থাপনায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় থানা হতে চুরি হওয়া মালামালের সর্বমোট পরিমান আনুমানিক ৯৫ লক্ষ ২৩ হাজার ২শত ৩৭ টাকা। এবং ক্ষতিসাধনের পরিমান সর্বমোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ ২৯ হাজার ১শত টাকা। এবং চুরি হওয়া অস্ত্রগুলি ও বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার হয়নি।
এবিষয় জানতে মামলার তদন্তকারী সাব-ইন্সপেক্টর(নিরস্ত্র) রনী কুমার সাহা'র সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। যারা আসছিল (থানা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ লুটপাট করতে) ছবি দেখে দেখে তাদেরকে ধরতেছি। আমাদের এখানে কোনো কনফিউশনের সুযোগ নেই। আমরা বারবার যাচাই-বাছাই করেই তাদেরকে(অপরাধীদের) গ্রেফতার করতেছি।
এবিষয়ে জানতে টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানির স্বিকার না হয়।