ই-পেপার বাংলা কনভার্টার মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২ আশ্বিন ১৪৩১
ই-পেপার মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৪
Select Year: 
শিরোনাম:




৪৩ মাস পর আদালতে রায়
চট্টগ্রামের নগর পিতা ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৩৫ পিএম  (ভিজিটর : ১২০)
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছেন একটি আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যার ফলে চট্টগ্রামের নগর পিতা ডা. শাহাদাত হোসেন। 

সাড়ে তিন বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাবেক আহবোয়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলায় এ রায় দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের এড. আরশাদ হোসেন আসাদ। তিনি জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাঁকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ঘোষিত ফলাফল এবং মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন চেয়ে আদালতে মামলা করেন ডা. শাহাদাত হোসেন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ তৎসহ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৫৩ নম্বর বিধি ও ২ নম্বর উপবিধি মোতাবেক মামলাটি দায়ের করেন শাহাদাত। 

চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণা করেছেন নির্বাচনী ট্রাইবুনাল। ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলার একতরফা সূত্রে ডিক্রি দিয়েছেন। এতে ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র হিসেবে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ইসিকে।

এদিকে অবিলম্বে আদালতের রায় কার্যকর করতে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিল চেয়ে দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি। 

এজলাসের বাইরে ডা. শাহাদাত আরো বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সারাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আইনের শাসনের প্রতি যে অনাস্থা তৈরি হয়েছিল তা ফিরে আসতে শুরু করবে। একইসাথে চট্টগ্রামের ২০ লাখ ভোটার যারা বার বার প্রতারিত হয়েছিল তারাও খুশি হয়েছে।

ডা. শাহাদাত বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসনে রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রকে আওয়ামী যন্ত্রে রূপান্তরিত করে দেশে তারা ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছে। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তারা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জালিয়াতি করে ইভিএম রেজাল্ট পাল্টে দিয়ে জালিয়াতি করে অবৈধভাবে রেজাউল করিমকে মেয়র ঘোষণা করেছিল। তিনি বলেন, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে ২০২১ সালের মার্চ মাসে যে মামলা করা হয়েছে, সে মামলার কারণে আমাকে পাঁচ থেকে ছয় মাস জেল খাটতে হয়েছিল। সে মামলার আজ সাড়ে তিন বছর পর রায় হয়েছে। আমরা মনে করি, এ রায় বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সময়ে পেয়েছি- বিচার বিভাগ যে স্বাধীন, আইনের শাসন যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- এ রায়ের মাধ্যমে সেটা প্রতীয়মান হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রাক্তন মেয়র রেজাউল করিমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবকে বলেছেন, ১০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বহাল করে ডিক্লেয়ারেশন দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি আরেকটি ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছেন, আমি যে বৈধ মেয়র- আমাকে জালিয়াতি করে হারানো হয়েছে। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে। এতে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ এবং তাঁর প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান বলে ঘোষণা করা হয়েছি। পরে নির্বাচনে অবিশ্বাস্য কারচুপির অভিযোগ এনে ওই বছরের ২৪ ফেব্রæয়ারি আদালতে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন। মামলায় তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা ও চসিকের তৎকালীন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল।

তিন বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আড়ালে চলে যান রেজাউল। গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে অপসারণ করে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।








সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]