প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২৮ পিএম (ভিজিটর : ১৮৩)
দৈনিক আমারে দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকিলাব মঞ্চ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধর করে তারা। এসময় সরকারি উদ্যোগে মামলা প্রত্যাহারসহ মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বাস ভননের সামনে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
এসময় আন্দোলনকারীদের, “সাহসের অপর নাম, মাহমুদুর রহমান”, “মাহমুদ ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে”, “জেলের তালা ভাঙবো, মাহমুদ ভাইকে আনবো”সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ উসমান হাদী বলেন, বাংলাদেশের মজলুম-নিপিড়ীত মানুষের স্বাধীনতার কথা বলায় মাহমুদুর রহমানকে নানা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার। এই নতুন বাংলাদেশে সেই মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা সরাসরি স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী। দেশে ফ্যাসিবাদের দোসরেরা সীমান্ত দিয়ে পালায় আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা লোকদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। স্বাধীন দেশের এমন দৃষ্টান্ত স্পষ্টতই বিচার বিভাগে থাকা হাসিনার দোসরদের পাকাপোক্ত স্বরব উপস্থিতির কথা প্রমাণ করে। যারা এসমন রায় দিয়েছে তারা স্পষ্টতই হাসিনার দাস ও সুবিধাভোগী।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, তিনি যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সেই ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলা আজ তাকে জেলে যেতে হয়েছে। তিনি যখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করলেন তখনই রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যখন তিনি কুষ্টিয়ায় মামলার হাজিরা দিতে যায় তথখন কিভাবে তার উপরে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পরে মাহামুদুর রহমান যখন বীরের বেশে দেশে ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করেন তখন তাকে জেলে পাঠায়। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে আমরা খুবি আশাহত। এটা তার প্রতি অন্যায়। আদালত চাইলে উনাকে মুক্তি দিতে পারতো এবং মামলায় খালাস দিতে পারতো৷ কিন্তু আদালত তা করেনি।
ইনিকালাব মঞ্চের সদস্য ফাতিমা তাসনিম বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলো তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি উল্টো যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত ছিলো তাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। এটা স্বাধীন বাংলাদেশে লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত।