প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২৫ পিএম (ভিজিটর : ৪৫০)
বেসরকারী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের আরও বেশি করে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস)। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএমএস আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে সোসাইটর নেতারা এ কথা জানান।
বৈঠকে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএমএস সভাপতি আসমা খাতুন, সহ-সভাপতি সৈয়দা মাহফুজা ঝুমু, সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এহতেশাম, বিএমএস’র প্রজেক্ট ম্যানেজার, শারমিন শবনম জয়াসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, মিডওয়াইফ হচ্ছে দক্ষ, প্রশিক্ষিত, বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত মা ও নবজাতক শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী। একজন মা গর্ভধারন পূর্ববর্তী পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসবপরবর্তী সময়ে মিডওয়াইফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন করতে পারেন। বর্তমানে, বাংলাদেশে ৭,২৩০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ (বিএনএমসি রিপোর্ট ৩১-জুলাই-২০২৩ অনুযায়ী) রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২,৫৫৭ জন মিডওয়াইফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত।
তারা বলেন, মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যুহার কমাতেই চিকিৎসা খাতে মিডওয়াইফদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মিডওয়াইফদের উন্নয়নে তাদের শিক্ষার সুযোগ এবং কর্মপরিধি আরও প্রসারিত করবার জন্য নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী যুক্তিসংগত। প্রায় ৯ হাজার মিডওয়াইফ বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করার পর, কম্পিটেন্ট হওয়ার পরও মিডওয়াইফরা বেকার হয়ে বসে আছেন, তারা প্রায় হতাশাগ্রস্থ। বেসরকারী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের আরও বেশি করে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত।
তারা আরও জানান, বিএমএস এর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আকারে মিডওয়াফদের বেশ কিছু দাবির কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা ইতিবাচক সাড়ার অপেক্ষায় আছি।