ই-পেপার বাংলা কনভার্টার মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২ আশ্বিন ১৪৩১
ই-পেপার মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৪
Select Year: 
শিরোনাম:




অনিয়ম দুর্নীতির সাম্রাজ্য করেছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৩৩ পিএম আপডেট: ০১.১০.২০২৪ ২:৩৮ পিএম  (ভিজিটর : ১২০৭)
চরম অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে কর্মচারীদের প্রতি অমানবিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে নিজের স্বঘোষিত সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. নাহিদ সুলতানা। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তিনি রাজশাহী ও  রংপুর অঞ্চলের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে আঞ্চলিক পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । এই দায়িত্বের আড়ালে তিনি তৈরি করেছেন দুর্নীতির বিশাল নেটওয়ার্ক । বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি ও আমলাদের সাথে সখ্যতার   সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সকল ধরনের আর্থিক অনিয়ম,দুর্নীতি ও কর্মচারীদের প্রতি অমানবিক নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্নতত্ত্ব  অধিদপ্তর দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের ও  উপস্থাপনের দাযিত্বে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ।  এ অধিদপ্তরের আওতাধীন সংরক্ষিত পুরাকীর্তি গুলোর সংস্কার- সংরক্ষণ জরীপ অনুসন্ধান ও খনন কাজগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ।  নাহিদ সুলতানা তার নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের  দ্বারা অতি গোপনে কাজগুলো করে ফলে বিষয়গুলো জনসমক্ষে সচরাচর আসে না। এই সুযোগে তিনি অদক্ষ শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। বগুড়ার ভাসুবিহারে অধিদপ্তরের দুইজন অদক্ষ মাস্টারোল শ্রমিক মো. শাহাদাত ও ভুট্টু কে দিয়ে খনন কাজ করে খননে বরাদ্দককৃত অর্থ উত্তোলন করে নেন। 

 বিগত সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে নতুন নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেন। নীলফামারী জেলা নীলসাগর এলাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণ করেন জাদুঘরটি নির্মাণের প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত হলেও  অদ্যাবধি উদ্বোধন বা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এডিবির অর্থায়নে কান্তজি মন্দির, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার,বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ এলাকার উন্নয়নে  ঝড়ঁঃয অংরধ ঞড়ঁৎরংস ধহফ ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব উবাবষড়ঢ়সবহঃ চৎড়লবপঃ(ঝঅঞওউচ) গৃহীত হয়। এ   প্রকল্পের টেন্ডার পায় তৎকালীন  সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঢালী কনস্ট্রাকশন । নাহিদ সুলতানা ঢালী কনস্ট্রাকশনের অলিখিত এজেন্ট হিসেবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে নয়-ছয়ভাবে  কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করেন।  সাগর চুরিতে সমাপ্ত হয় ওই প্রকল্প ।

 প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথাবলে জানা যায়, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই চাপ প্রয়োগ ও চাকরিচ্যৃতির হুমকি দিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের  কর্মকর্তাদের  প্রকল্প এলাকা বুঝে   নিতে বাধ্য করেন। 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩ কোটি (২ কোটি ৯৭ লক্ষ) টাকা ব্যয়ে কান্তজি মন্দির এলাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণের প্রকল্প গৃহীত হয়। ক্ষমতার দাপটে তিনি এ জাদুঘর নির্মান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন। প্রকল্প প্রস্তাবনার কোন তোয়াক্কা না করেই তার হরিলুট কান্ডের মধ্য দিয়ে এ প্রকল্প সমাপ্ত হয়। ছোট্ট একটি জাদুঘর ব্যতীত এন্টিকুইটি স্টোর,কাস্টোডিয়ান অফিস,আনসার শেডসহ কোন স্থাপনাই নির্মাণ হয়নি। জাদুঘর চত্ত্বরে মাটি ভরাটকরণ কাজে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও  একটি টাকাও ব্যয় না করে ব্যয় দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ তুলে নেন । জাদুঘরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পোড়ামাটির ফলক/টেরাকোটা সংযোজন কাজে নিয়োজিত কারিগরকে তার পারিশ্রমিকের টাকা  না দিয়ে প্রতারণা করেছেন।এ ব্যাপারে টেরাকোটা শিল্পী বিষ্ণু রায় জানান, তিনি দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিপুন মেধায় জাদুঘরের দেয়ালে টেরাকোটা গুলো  স্থাপন  করলেও  তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হয়নি। উপরন্তু তাঁকে  আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় বগুড়ায় ডেকে নিয়ে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী  দ্বারা  চরমভাবে লাঞ্চিত  ও গুরুতর আহত করার পর প্রাননাশের হুমকি দিয়ে  মুছলেকা নেন। 

টেরাকোটা শিল্পী বিষ্ণু রায় এ বিষয়ে, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি আমলাদের সাথে সখ্যতার দাপটে নাহিদ সুলতানার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।এছাড়াও  অধিদপ্তরের মাস্টারোল শ্রমিক নিয়োগে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির  নজির রয়েছে। 

আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা তিন থেকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে মাস্টার রোল কর্মচারী নিয়োগ দেন এবং বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে ছাটাই করে পুনরায় সে পদে আবার নিয়োগ দেন। এরই মধ্যে কান্তনগর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে একজন ও সীতাকোট বিহার নবাবগঞ্জে একজন মাস্টাররোল কর্মচারীকে কোন প্রকার অপরাধ ছাড়াই চাকরি থেকে ছাটাই করেছেন। বগুড়ায় মহাস্থানগড় মাজার এলাকায় দুর্নীতির এক মহাযজ্ঞ চলমান তার নেতৃত্বে অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারী দিয়ে গাড়ি পার্কিং  এর সরকারি রশিদ ছাড়া টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছে। উচ্চ আদালতের নিরদেশনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বগুড়া মহাস্থান গড় এলাকায় অধিদপ্তরের অসাধু কর্মচারীদের সিন্ডিকেট দিয়ে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনকে বসতবাড়ি নির্মাণ করার জন্য গোপনে অনুমতি দেন।  এ বিষয়ে ইতিপূর্বে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। বিগত সরকারের এমপি-মন্ত্রী আমলাদের ব্যবহার করে  রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বের পাশাপাশি  বর্তমানে তিনি ঢাকার রোজ গার্ডেনকে জাদুঘরে রুপান্তরকরন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের পরিচালনার জন্য বর্তমানে সার্বক্ষণিক তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। রাজশাহীর রংপুর অঞ্চলের ১৬ টি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংরক্ষিত পুরাকীর্তিগুলো দেখভালের অভাবে যেন অবহেলিত ও উপেক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।অনেক গুলো,সংস্কার-সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংশের পথে।এ অঞ্চলে তালিকা ভূক্ত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি গুলোর অনেকগুলো আবার তাঁর যাচ্ছেতাই সংস্কার-সংরক্ষণে প্রকৃত ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে বসেছে। আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ায় তিনি প্রতি ২মাসে একবার আঞ্চলিক বগুড়ায় আসেন। অফিসের জরুরী/ গুরুত্বপূর্ন ফাইলে স্বাক্ষর করানোর জন্য ফাইল নিয়ে কর্মচারীদের ঢাকায় ডেকে পাঠান। এসব বিষয়ে  প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তাগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অদৃশ্য ক্ষমতার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না । নাহিদ সুলতানার   নির্যাতন, চাকুরীচ্যুতির হুমকি, কথায় কথায় বদলি বেতন কর্তনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে অনিয়মিত কর্মচারিরা গত ২৫ আগস্ট রোজ রবিবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সমবেত হয়ে মহাপরিচালকের নিকট দাবিগুলো পেশ করেন। মহাপরিচালক কর্মচারিদেরকে আশ্বস্ত করলে তারা নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবার কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকার কারণে তার নির্দেশে মহাস্থানগড় জাদুঘরে নিয়োজিত ১৭ জন কর্মচারীর একদিনের বেতন কর্তন করা হয়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত অনিয়মিত কর্মচারীগণ জুলাই ও আগস্ট ২৪ মাসের বেতন পাননি । তাদের দাবী তেরো হাজার টাকা বেতন পাই সেই বেতনও দুই তিন মাসেও পাইনা। উন্নয়ন প্রকল্পে  নিয়োগপ্রাপ্ত  নাহিদ সুলতানা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে যোগদানের পরে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । অতি অল্প সময়ের মধ্যেই অনিয়মের মাধ্যমে  রাজস্বখাতে চাকুরি স্থানান্তর ও কয়েকটি পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়েছেন। ঢাকা,বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার অঢেল সম্পত্তি রয়েছে । প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সরকারের ছোট একটি দপ্তর হওয়ায় পুরো দপ্তরটি নিয়ন্ত্রণ করেন  আঞ্চলিক পরিচালকনাহিদ সুলতানার নেতুত্বে ৫/৬ জনের একটি চক্র। এছাড়া তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধাচরণ করায়  বিভিন্ন সময় স্থায়ী কর্মচারীগণকে চাকুরীচ্যুত করা মতো ঘটনা ঘটেছে। ঝঅঞওউওচ প্রকল্পের নয়-ছয় কাজ কাগজ কলমে সঠিক দেখিয়ে বুঝে নেওয়ার জন্য  কান্তনগর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সহকারী কাস্টডিয়ান সঞ্জয় রায় কে  চাপ দেন । সহকারী কাস্টডিয়ান সে সময় প্রকল্প এলাকা বুঝে  নিতে অসম্মতি জানালে আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানের সাথে তার মতো বিরোধ তৈরি হয় । এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন মাস্টারোল কর্মচারী ও সহকারী কাস্টোডিয়ান সঞ্জয় রায় কে চাকুরীচ্যুত  করেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকগণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং খুব অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন । একমাত্র মহাপরিচালক পদটি প্রশাসন ক্যাডারভূক্ত এবং অন্যত্র বদলীযোগ্য বিধায় মহাপরিচালক  এই চক্রের কাছে কয়েকদিনের অতিথি এবং পুরোপুরি অসহায়।  বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর ১৯৮৫ সালের পরে এই দপ্তরটির যুগোপযোগী জনবল কাঠামো প্রস্তুত হয়নি। ১৯৮৫ সালের জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি  দিয়েই ২০২৪ সালেও পরিচালিত হচ্ছে। আঞ্চলিক পরিচালকগণসহ অধিদপ্তরের ৩-৪ জন কর্মকর্তার কারসাজিতেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি  বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
 প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের গেজেট ভুক্ত বিভিন্ন সাইট পরিদর্শন করে দেখা যায়  নাহিদ সুলতানাসহ অন্যান্য আঞ্চলিক পরিচালকগণের অবহেলার কারণে সম্ভাবনাময় প্রত্নসম্পদ ধ্বংসের মুখে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেই উদ্যোগের সাথে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কে যেন সংস্কার করা হয়। একইসাথে  নাহিদ সুলতানাসহ বিগত সরকারের মদদপুষ্ট দুর্নীতিবাজ সকল কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় আনা হয়।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]