প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৮ পিএম (ভিজিটর : ২৯২)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল (প্রত্যাহার) করেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন শফিক রেহমান। শফিক রেহমান বলেন, জনগণের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আমাদেরও বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। জনগণকে বাকরুদ্ধ করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-২ শাখা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বিষয়ে শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। শফিক রেহমান এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে মামলার নকল ও তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ফেরতের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আমরা খুব দ্রুত আপিল করবো।
এদিকে মামলার সূত্রে জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনকে পৃথক দুই ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিদেশে থাকা অন্য আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্যও দেন।
উল্লেখ্য, রবিবার এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী কোনো আদালত যদি এক বছরের বেশি কারাদন্ড দেন তাহলে তিনি এ মামলায় জামিন দিতে পারেন না। এ আদালত থেকে গত বছরের ১৭ আগস্ট মাহমুদুর রহমানকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এ আদালত মামলায় জামিন দিতে পারেন না। আমরা দ্রæত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন করবো। আশা করি তিনি জামিন পাবেন।