প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৫ পিএম (ভিজিটর : ৪২৭)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে পোশাককর্মী রুবেল হত্যার অভিযোগে রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও রাজধানীর আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে।
চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার ফরহাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূরের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ইস্কাটন থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ফরহাদকে কারাগারে পাঠানো মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে রুবেলসহ কয়েকশ মানুষ আদাবর থানাধীন রিং রোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।
এদিকে রাজধানীর আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে রিমান্ড শেষে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আবু তাহের মিয়া রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার চার নং এজাহারনামীয় আসামি হলেন জ্যোতি।
মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।