ই-পেপার বাংলা কনভার্টার সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ই-পেপার সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪
Select Year: 
শিরোনাম:




অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩২ এএম  (ভিজিটর : ৭০৬)
দুই হাজার বিশ সালের প্রথম প্রান্তিকে সারা বিশ্বই ছিল লকডাউনে। স্বাভাবিকভাবে তখন প্রায় সব দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। মন্দার কবলে থেকেছে বিশ্ব। সেখান থেকে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু আবারও মন্দার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। উন্নত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সবচেয়ে অব্যর্থ অর্থ প্রয়োগ করেছে। সেটা হলো, নীতি সুদহার বৃদ্ধি। কিন্তু এতে অর্থনীতির প্রাণ অর্থাৎ চাহিদাই ব্যাহত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার বৃদ্ধি করায় ওয়াল স্ট্রিট প্রায় খাদের কিনারে চলে গেছে। ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন, আমরা বড় ধরনের মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছি। ব্যাংক অব আমেরিকা অতটা নিরাশাবাদী না হলেও বলেছে, চলতি হাওয়ার মধ্যে একধরনের মন্দাভাব আছে। বড় বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর মধ্যে গোল্ডম্যান স্যাকস কিছুটা আশাবাদী হলেও পরিস্থিতি নিয়ে উৎফুল্ল নয়। তাদের ভাষ্য, শ্রমবাজারে সংকট থাকায় মন্দার যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। এদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্প্রতি নীতি সুদহার শূন্য দশমিক পঁচিশ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। এমনিতেই সে দেশে এখন গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে সংকটকালীন সময় পার করছে। ২০২৩ সালে সেই সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। গত বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আস্থার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে দেশীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জাতীয় তথা মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, ব্যাপক আয়বৈষম্য, অকল্পনীয় জ্বালানি সংকট, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্পে তীব্র শ্রমিক অসন্তোষ, বেকারত্ব প্রভৃতি সমস্যা মোকাবেলা করতেই সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে হিমশিম খেতে হয়েছে।

দেশের বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলেছে তীব্র জ্বালানি সংকট। শিল্প ও আবাসিক উভয় ক্ষেত্রে জ্বালানি গ্যাসের প্রাপ্যতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। ভুলে গেলে চলবে না, শিল্পের উৎপাদন বন্ধ হলে অর্থনীতির প্রাণভোমরা তথা তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাংলাদেশ পশ্চিমা বিশ্বের বাজার হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে। একই সঙ্গে সারা দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষের বিস্তার, আর্থসামাজিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়া তথা সমগ্র দেশের পরিবেশ হবে উত্তপ্ত ও চরম অস্থিতিশীল। এ সংকট যেকোনো সুযোগসন্ধানী রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী ট্রামকার্ড ফেলার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা কোনো অবস্থায় কাম্য অথবা গ্রহণযোগ্য নয়। চলতি বছরের শুরুতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক অর্থনীতি বিশ্লেষক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেসব বিপদের আশঙ্কা উপস্থাপন করা হয়েছে সে তালিকার প্রথমে স্থান পেয়েছে জ্বালানির জোগান সংকট। বাংলাদেশী গবেষণা সংস্থা সিপিডির সহায়তায় সম্পন্ন হওয়া এ জরিপের ফলে মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতির গতিপথের নিম্নমুখী গন্তব্য, ধন ও আয়বৈষম্য, মাথাপিছু ঋণ বাড়ার চেয়ে অনাগত দিনগুলোয় জ্বালানি সংকট বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাহিদার বিপরীতে গ্যাসের জোগান মাত্র ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে, সর্বোপরি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশে শিল্পে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। তবে ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে শিল্পের উৎপাদনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব রাখার মতো সংকট হয় না।

ঢাকার নিকটবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বেশির ভাগ শিল্পের প্রডাকশন প্লান্ট অবস্থিত। ডায়িং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং, স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন এক ধরনের ধসে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মোট সক্ষমতার ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদন চালু রাখতে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার কিংবা ডিজেল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন অধিকাংশ শিল্প উদ্যোক্তা। বিকল্প জ্বালানি প্রায় নিয়মিতভাবে ব্যবহার করার ফলে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। তবু বিদেশী ক্রেতাদের বাজার ধরে রাখতে ক্ষতির শিকার হয়ে অসংখ্য তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আশঙ্কার বিষয়, জ্বালানি গ্যাসের সংকট যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে অনন্তকাল এভাবে ক্ষতি গুণে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তখন নিশ্চিতভাবেই পশ্চিমা ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান আমাদের ওপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, তুরস্কের মতো দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে। তখন আমাদের অর্থনীতির মূল ভরকেন্দ্র তৈরি পোশাক শিল্পে এ ধরনের বিপর্যয় ঘটলে দেশের নাগরিকের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানে দ্রুতই ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করার আশঙ্কা রয়েছে। রফতানিমুখী শিল্প ছাড়াও অসংখ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও গ্যাস প্রয়োজন হয়। গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের রূপান্তরিত জ্বালানি হিসেবে সিএনজির বহুল ব্যবহার হয়। তাই জ্বালানি হিসেবে গ্যাস সংকটের তীব্র প্রভাব পড়তে বাধ্য। আমাদের দেশের মতো অতি ঘনবসতিপূর্ণ দেশের শিল্প ও আবাসিক খাতের জ্বালানি নিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করা যৌক্তিক কিনা এ প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের চিন্তিত করছিল। এরই মধ্যে সামিট গ্রুপের সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড এবং আরেকটি মার্কিন কোম্পানি মিলে বাংলাদেশে এলএনজি আমদানির ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে বলে খবর আসছে। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকে এ যৌথ উদ্যোগ ১৫ বছর বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করার দায়িত্ব পাচ্ছে। রূপান্তরিত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ থাকার পরও কেন একই কোম্পানিকে রীতিমতো এলএনজি আমদানির অনুমতি ও ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে সে প্রশ্ন দৃঢ়ভাবে উত্থাপন হওয়া দরকার। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ক্ষমতার পালাবদলে প্রকল্প বদলে যাওয়া বা স্থগিত হওয়ার চর্চার প্রমাণ মেলে, কিন্তু গত ১৫ বছর একই দল বারবার সরকার গঠন করেছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এ সময়ের মাঝে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকার্থে নতুন তেল-গ্যাস ক্ষেত্র সন্ধানের প্রতি আগ্রহী হতে দেখা যায়নি। প্রায় এক দশক আগে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে নতুন সমুদ্রসীমার মালিকানা লাভ করেছে। ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশই তাদের মীমাংসিত সমুদ্রসীমায় ব্যাপকভাবে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উৎস খুঁজে উৎপাদনে গেলেও বাংলাদেশ বলার মতো কোনো উদ্যোগ নেয়নি, বরং দেশে জ্বালানি সংকট যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে তখন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উচ্চ ব্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে এ মুহূর্তে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করা কেন ঝুঁকিপূর্ণ তা বোঝাতে চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের খনিজ তেল-গ্যাস আহরণে সফলতার হার অতিউচ্চ; প্রায় ৩৩ শতাংশ। সরকারের উচিত ছিল সময় থাকতেই বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করে নিরাপদ উৎপাদনের পথে যাওয়া। সেটি তারা করেনি, বরং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে কর্তৃপক্ষ একেবারেই অনাগ্রহী।শিল্প ও আবাসিক জ্বালানি গ্যাসের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে যানবাহনের জ্বালানি তেল, এমনকি উড়োজাহাজের জ্বালানির সংকটও দেখা গেছে। এ ঘটনাগুলো প্রমাণ করে দেয় বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট কেমন তীব্র এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের অর্থনীতি কতটা ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের মূল ক্ষেত্র মাত্র দুটি-তৈরি পোশাক রফতানি ও রেমিট্যান্স। দ্বিতীয়টির ওপর সরকারের সেই অর্থে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কারণ ব্যক্তি পর্যায়ে মানুষ কীভাবে রেমিট্যান্স পাঠাবে তা নিজস্ব চিন্তা ও অভিরুচির ওপর নির্ভর করে। সাধারণত মানুষ মোটা অংকের লাভের প্রশ্নে বৈধ কিংবা অবৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে সেটি নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন হয় না। অন্তত প্রবাসে বসবাস করা অধিকাংশ বাংলাদেশী নাগরিকের নৈতিকতার মানদণ্ডের গড় বিবেচনায় নিলে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনক্ষম শিল্পের ওপর ইতিবাচক দৃঢ় সরকারি প্রভাব নিশ্চিত করা সম্ভব। এ অবস্থায় সরকার জ্বালানি গ্যাসের সংকট মোকাবেলাসহ বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারের প্রশ্নে ক্ষুদ্র স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় দেশের অর্থনীতিতে চলমান সংকট কেবল আরো ঘনীভূতই হবে না, বরং আমাদের জাতীয় জীবনে অকল্পনীয় বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাত্রায় ভিন্নতা থাকলেও এ বিপর্যয়ের প্রভাব থেকে ধনী-দরিদ্র, প্রভাবশালী-ক্ষমতাহীন কেউই রক্ষা পাবে না। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি চীনের অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। চীনের সঙ্গে অনেক দেশের অর্থনীতির প্রত্যক্ষ যোগ আছে। ফলে চীনের অর্থনীতির গতি হারানোর কারণে অনেক দেশের পরিস্থিতির অবনতি হবে। সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা আবারও বিঘ্নিত হয়েছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা কেবলই মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। কিন্তু তখনই শুরু হলো এই যুদ্ধ। ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে। জ্বালানির দামও আকাশছোঁয়া। ফলে সবকিছুর দামই এখন বাড়তি।

আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২২ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতিহাস থেকে যদি শিক্ষা নিতে হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতির এই ধারা থেকে এটা স্পষ্ট, বিশ্ব অর্থনীতি আবারও সংকোচনের দিকে এগোচ্ছে।অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতিহাস থেকে যদি শিক্ষা নিতে হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতির এই ধারা থেকে এটা স্পষ্ট, বিশ্ব অর্থনীতি আবারও সংকোচনের দিকে এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যতবার মন্দা হয়েছে, তার মধ্যে একবার ছাড়া প্রতিবারই মন্দার আগে মূল্যস্ফীতি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাম্প্রতিক পূর্বাভাসেও তেমন ইঙ্গিত মিলেছে। করোনার ধাক্কায় এমনিতেই গোটা বিশ্বের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থার মধ্যে চলছে। এর মধ্যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামকে উসকে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব আরো সুদূরপ্রসারি হতে পারে। শিগগির এ যুদ্ধের দামামা বন্ধ না হলে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বিশেষজ্ঞরা। একে তো যুদ্ধের ব্যয়, তার ওপর নিষেধাজ্ঞার বোঝা। সব সামলাতে গিয়ে রাশিয়া মন্দার কবলে পড়তে পারে। তবে শুধু রাশিয়া নয়, সেই সীমা এখন গোটা বিশ্বে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]