আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো আলোচনায় হবিগঞ্জ ৪ চুনারুঘাট মাধবপুর সংসদীয় আসন। এই আসনে দীর্ঘমেয়াদী আওয়ামী লীগের এমপি ও মন্ত্রী থাকার ফলে বর্ডার সংরক্ষণ,মাদক ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণসহ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন, চা জনগোষ্ঠীর জীবনমান্নোয়ন, সড়ক ও জনপদ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা, শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদ, মন্দির উপজেলাবাসীর যৌক্তিক এই দাবিটির সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন শেষে উপজেলাবাসীর প্রত্যাশীত (প্রস্তাবিত) খোয়াই নদী ব্রিজ,সরকারি মহিলা কলেজ,টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, পৌর ভবন, পানি শোধনাগার,পর্যটন অধ্যসিত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর বন ফরেস্ট রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম,সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান,পুরাতন খোয়াই নদী লেক ,স্টেডিয়াম কাজগুলো বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন করতে পুনরায় চুনারুঘাট বাসীর ভোট ও সহযোগিতা চান এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি। তিনি ৯নং রানীগাঁও ইউনিয়ন পারকুল চা জনগোষ্ঠীর অধ্যসিত এক জনসভায় বক্তব্যে এ দাবি জানান।
তাই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই চুনারুঘাট মাধবপুর আসনের দুই উপজেলাজুড়ে প্রচার-প্রচারণা ও অসমাপ্ত দাবিগুলো পূরণের আশ্বাসে ভোটারদের ফেরো আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীসহ সমর্থকদের চলছে জোড়তোড় প্রচারনা।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসনে প্রার্থীর পরিসংখ্যান দীর্ঘ হলেও নির্বাচনে অংশ নেয়া নানা বিতর্কিত বক্তব্যে আলোচিত সমালোচিত, কেন্দ্রীয় যুবলীগের অব্যাহতি প্রাপ্ত আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ছাড়া অন্য দল ও প্রার্থী সবাই ভোটারদের কাছে অপরিচিত। প্রার্থীদের রাজনৈতিক পরিচিতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দলীয় কিংবা ব্যক্তি ইমেজ স্থানীয় ভোটারদের দৃষ্টি আর্কষণ কিংবা সহজে মন জয় করে নেয়ার ব্যতিক্রমী বিশেষণ ও গুণ এমন প্রার্থীর পরিসংখ্যান খুবই কম।
তাই বলা চলে অনেকটাই নিরুত্তাপ ভোটের মাঠে ভোটারদের মন যোগাতে পরিকল্পিত ভাবে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী'র বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্টানের সহযোগিতা ও ব্যক্তি উদ্যোগে বাঁশ, কাঠ, সেমি ফাঁকা ফুল নির্মাণ সহ সামাজিক কর্মকাণ্ডকে ঢালাও ভাবে সাজিয়ে ইউটিউবারদের মাধ্যমে প্রচারনা শুরু করে চাপের মুখে ফেলে রেখেছেন বলে জানান নৌকার সমর্থক গণ।
