প্রকাশ: রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:০৭ পিএম (ভিজিটর : ৩০৫)
ছাত্র আন্দোলন ও জনরোষের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেলে ফেনী পৌরসভা ভবনসহ বেশ কিছু স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দূর্বত্তরা । এ ঘটনার ১ মাস পর পৌর ভবনে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে ফেনী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম শাখাওয়াত উল্যাহ চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় ৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি ছিল। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এর পরপরই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তি লাঠিসোঁটা, কুড়াল, করাত, আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রসহ পৌরসভার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এরপর তাঁরা পৌর কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া পৌরসভা ভবনের সামনে থাকা লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স এবং পৌরসভার বেশ কয়েকটি ময়লা বহন কারী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় পৌরসভার কার্যালয়ের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাব, বৈদ্যুতিক পাখা, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, ফ্রিজ, এসি, আলমারি, কেবিনেট, ফগার মেশিন পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফেনী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজ্ঞাত পরিচয় চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।