যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতি থেকে আসা অভিবাসীদের বিতাড়িত করার আগাম হুশিয়ারি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবরের মতোও এবারের মার্কিন নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু অভিবাসন। অভিবাসী নীতিতে ডেমোক্রেট সরকার নমনীয় হলেও তাদের বিষয়ে সব সময় কঠোর রিপাবলিকান সরকার। তাই এবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতি থেকে আসা অভিবাসীদের গণহারে ক্যালিফোর্নিয়ার ওহিও শহরের স্প্রিংফিল্ড থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বাগযুদ্ধ ততই প্রবল হচ্ছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস একে-অন্যকে ঘায়েল করতে পরস্পরকে বাক্যবাণে জর্জরিত করছেন।
বরাবরের মতোও এবারের মার্কিন নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু অভিবাসন। অভিবাসী নীতিতে ডেমোক্রেট সরকার নমনীয় হলেও তাদের বিষয়ে সব সময় কঠোর রিপাবলিকান সরকার। তাই এবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতি থেকে আসা অভিবাসীদের গণহারে ক্যালিফোর্নিয়ার ওহিও শহরের স্প্রিংফিল্ড থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ওহিও শহরের স্প্রিংফিল্ড থেকে হাইতিয়ান অভিবাসীদের গণহারে নির্বাসিত করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও তাদের বেশিরভাগই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে নিজের গলফ রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন তিনি। বলেন, আমরা স্প্রিংফিল্ডে বড় ধরনের নির্বাসন অভিযান পরিচালনা করব।
স্প্রিংফিল্ডে ১৫ হাজার হাইতিয়ান বসবাস করেন। তাদের বেশিরভাগই বৈধভাবে সেখানে বসবাস করেন। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে বসবাস করেন তাদের বিরুদ্ধেই গণনির্বাসন অভিযান পরিচালনার কথা বলে আসছিলেন ট্রাম্প।
সংবাদ সম্মেলনের পর লাস ভেগাসে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, অবৈধ হাইতিয়ান অভিবাসীরা স্প্রিংফিল্ড দখল করায় আমি ক্ষুব্ধ। আপনারা এই বিশৃঙ্খল অবস্থাটা দেখতে পারছেন, তাই না?
তিনি বলেন, আমাদের দেশে খুব সহজে কিন্তু অবৈধভাবে আসা বর্বর অপরাধী এলিয়েনদের দ্বারা তরুণ আমেরিকান মেয়েদের ধর্ষণ ও খুন করায় আমি ক্ষুব্ধ।