প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৪২ পিএম (ভিজিটর : ১৬২)
গোপালগঞ্জে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং স্থানীয় জনতার মধ্যে সংঘর্ষে নিহত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারের মরদেহ নিজ বাড়ী ঢাকার জুরাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এ হত্যাকান্ড ও হামলার প্রতিবাদে বিকালে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল। তবে এখন পযর্ন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বুঝে নেন নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান ও শ্বশুর হাবিবুর রহমান। পরে তারা একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে ঢাকার জুরাইনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ ঘটনায় দলীয় ও পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর মামলা করা হবে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। তবে এ ঘটনায় এঞন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের এবং ঘটনার সাথে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। এসময় তাদের গাড়ী বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগনের সাথে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৩৫ জন আহত হন।