দেশে নানা প্রজাতির ফল পাওয়া যায়। তেমনি একটি ফল হলো ননি ফল। এ ফল শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির এক মহৌষধ। অনেকের কাছেই ননি ফল অপরিচিত। ননি ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে মরিন্ডাসিট্রিফলিয়া এটি একটি আফ্রিকান ফল। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এটি সর্দি কাশি, লিভারের সমস্যা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এই ফলের মধ্যে রয়েছে শতাধিক পুষ্টিগুণ। ননি গাছের শুধু পাতা থেকে নয়, শিকড় থেকেও ভেষজ ওষুধ তৈরি করা যায়। ননি ফল ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা করে।
ননি ফল ইন্ডিয়ান মালবেরি নামেও পরিচিত। ননি ফলের রং পাকা অবস্থায় বাইরের অংশ হলুদাভ সাদা এবং বাইরে বাদামি গোলাকার দাগযুক্ত। ননি গাছ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অর্থাৎ ভারত উপমহাদেশে জন্মায়। আমাদের দেশের যশোর, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় এই ফলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বাংলাদেশেও এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ সম্ভব।
ননি ফলের উপকারিতা
শুধু ননি গাছের পাতা থেকে নয়, শিকড় থেকেও ভেষজ ওষুধ তৈরি করা যায়। ননি ফল ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা করে। চলুন ননি ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
১. ননি ফল ডায়াবেটিসের জন্যও বেশ কার্যকর। আসলে, ননি ফলের মধ্যে এমন অনেক বিশেষ উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ননি গাছের পাতাও অত্যন্ত উপকারী।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ননি ফলও খাওয়া যেতে পারে। ননি ফল এবং পাতায় একটি বিশেষ ধরনের সক্রিয় যৌগ থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করতে কাজ করে।
৩. ননি ফল ক্যানসারের মতো বড় রোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এই ফল টিউমার কোষ নির্মূল করে লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে।
৪. এই ফলের আরও বড় একটি উপকারিতা হল এই ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য তারুণ্য রাখতে সাহায্য করে।
৫. পেটের সমস্যা দূর করতে ননি খাওয়া যেতে পারে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ফলটি ওষুধের মতো কাজ করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা রোগও নিরাময় হয় এই বিশেষ ফলটি খেলে।
৬. ননিকে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যের একটি ভালো উৎস। ত্বক ফুলে যাওয়া, লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে এই ফল সেবন করা যেতে পারে। এর পাতায় এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায়, যা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালের মতো কাজ করে। এই পাতার সাহায্যে ক্ষতস্থানকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।
এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।