মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার সকল অস্ত্র-গুলাবারুদ ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্বার করে সেনাবাহিনী হেফাজতে রাখা তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ থেকে শ্রীমঙ্গল থানার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সেনা বাহিনীর কমান্ডার মেজর মেজবা ও মেজর ইমরান, মঙ্গলবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল থানা প্রাঙ্গনে সরকারি অস্ত্র ও বেসরকারি লোকজনের অস্ত্র এবং অস্ত্রের সাথে গুলাবারুদ ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্বার করে সেনাবাহিনী হেফাজতে রাখা মালামাল আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শ্রীমঙ্গল সার্কেল (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিনয় ভূষন রায়ের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
শ্রীমঙ্গল সার্কেল (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর শ্রীমঙ্গল থানায় হামলা হয়। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় আমাদের পুলিশ বাহিনী থানা থেকে অনেক কষ্টে বের হয়। পরে আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী থানায় থাকা অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্বার করে তাদের হেফাজতে রাখেন। মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ইং, সন্ধ্যায় এগুলো আমরা তাদের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি। এখন আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ শুরু করতে পারবো। আজ বুধবার থেকে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু। এ ছাড়া পুলিশি টহলসহ থানার সকল কার্যক্রম পুরোদমে চালু।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোঃ মেজবাউর রহমান বলেন, বিগত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিজয় মিছিলে অজ্ঞাত কিছু লোক প্রবেশ করে শ্রীমঙ্গল থানা ক্যাম্পে আক্রমন করতে চায়। দ্রুত সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজন এসে তাদের নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে সকল অস্ত্র অস্ত্রাগারে রেখে থানা থেকে সরে যান। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে থানার অস্ত্রাগার থেকে সকল অস্ত্র আমাদের হেফাজতে নেই। যা গতকাল শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি সকল সাংবাদিকদের সামনে।