হিন্দু, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায় যারা আছেন তাদের উপর যেনো কেউ আঙ্গুল তুলতে না পারে সে ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে সজাগ থাকার জন্য বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহীদ সরণিতে (সিএসডি মোড়) বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেছেন, স্বৈরাচারের পতনের পর দেশ নিয়ে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর ও তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা করছে। এ অবস্থায় এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের জান-মালের রক্ষায় দায়িত্ব বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিতে হবে। ঢাকা থেকে বিমানে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে ঠাকুরগাঁওয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব বরেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘ কাউকে কোন কানো রকম উচ্ছৃঙ্খলতা, কারও ওপর হামলা, আক্রমণ এসব করতে দিবেন না। যেখানে উচ্ছৃঙ্খলা দেখবেন রুখে দাঁড়াবেন। মনে রাখবেন এখন আপনাদের কঠিন সময়। এই বিপ্লবকে যদি উন্নীত করতে না পারি তাহলে আবার অন্ধকারে তলিয়ে যেতে হবে। চক্রান্তকারীরা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সেব চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। এ অবস্থায় তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। সে ভাষণে তিনি স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন হিংসা নয়, প্রতিহিংসা নয়, প্রতিশোধ নয়, আমরা সবাই ভাইয়ের মতো। আমরা শান্তিময় দেশ গড়ে তুলব।’
সৈয়দপুরের সিএসডি মোড়ের পথসভা শেষে সেখান থেকে তিনি সড়ক পথে ঠাকুররগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সময় সৈয়দপুর জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুরর সরকার, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানা, সহ-সভাপতি শফিফুল ইসলাম জনি ও সুমিত কুমার আগারওয়াল, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সহসাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামানিকসহ বিএনসি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।