বিগত ২২ দিন যাবৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকল ধরনের অফিস–আদালত চালু হলেও এখনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় এই পথের যাত্রীরা উন্মুখ হয়ে আছেন কবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে এই প্রত্যাশায়।অন্যদিকে কিছুদিন তেলবাহী এবং কন্টেনার ট্রেন চললেও তাও বন্ধ করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন অধিকাংশ যাত্রী গণমাধ্যমকে জানান এভাবে দিনের পর দিন রেল চলাচল বন্ধ থাকলে,দেশ যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঠিক তেমনি মানুষের জনজীবন দূর বিপাকে পড়ছে এবং নির্ণয়ের মানুষের পদযাত্রায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।যেহেতু দেশে অভ্যন্তরীণ সরকার গঠন করছে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।।
এই বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামব জানান,ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সরকার কারফিউ জারির গত ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন (আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল ও কমিউটার), কন্টেনারবাহী ট্রেন এবং তেলবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৩ দিন পর গত ১ আগস্ট থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিন ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয় ট্রেন চলাচল। এরপর থেকে ২ আগস্ট কন্টেনারবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ছাত্র বিক্ষোভের মুখে ৩ তারিখের পর কন্টেনারবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল গত ২৩ জুলাই থেকে। কিন্তু ৩ আগস্ট থেকে তেলবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সব ধরনের ট্রেন চলাচল এখনো বন্ধ আছে। ট্রেন চালানোর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি।