প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৩৩ পিএম (ভিজিটর : ৪৩১)
১৭৫৭ সালের পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজুদ্দৌলা লর্ড ক্লাইভের নিকট পরাজিত হওয়ার পর বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয়। সুদীর্ঘ ২০০ বছর ইংরেজ শাসনামলে এই জাতি পরাধীনতার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়। শহীদ তিতুমীর, হাজী শরীয়তউল্লা সহ লাখ লাখ বিপ্লবীদের শাহাদাতে অবশেষে স্বাধীনতা লাভ করে ভারতীয় উপমহাদেশ। তারপর ৩০ বছর পর পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয় এই বাংলা। সেই থেকে স্বাধীনতার অর্ধশত বছর অতিক্রান্ত হলেও বাংলাদেশ বেশিরভাগ সময়ই আধিপত্যবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের চারণভূমি হিসেবে মাথা উচু করতে দাঁড়াতে পারেনি। অবশেষে যুব ও ছাত্র সমাজ গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পূর্নাঙ্গ স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করায় এই নিপীড়িত জাতিকে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল বলেছিলেন অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা। এই ঐতিহাসিক সত্যিটি গত ৫ পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশ খুব নির্মোহভাবে উপলব্ধি করেছে। সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে গতকাল বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। আর এই নয়া স্বাধীন বাংলার ইশতেহার জাতিকে অবিহিত করতে চাই:
১. বাংলাদেশ সকল আধিপত্যবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একটি বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র
২. বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন বিশেষ করে ভাতের অধিকার এবং ভোটের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আপোষহীন
এই ইশতেহারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ যদি নতুন করে পথ চলে আশা করা যায় বাংলাদেশ পৃথিবীতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশ্বকে নতুন করে পথ দেখাবে।
লেখক: হাসান আল বান্না্, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক