প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ২:৪৬ পিএম (ভিজিটর : ৫৬৮)
লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপজেলার আলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়কে জোয়ারের স্রোতে সেতুতে ধস ও সড়কের দু’পাশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সব ধরনের যানবাহন ও জন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতের জোয়ারে উপজেলার অত্যন্ত জনবহুল এ সড়কের চরআলগী ইউনিয়ন নবিয়ল মোড়ে স্থাপিত ৫মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির পুরোটাই ধসে পড়ে। ফলে আলেকজান্ডার টু সোনাপুর (নোয়াখালী সদর ও সূবর্ণচর) উপজেলার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সেতুর দু পাশের বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি ফাটল দেখা দেওয়ায় জনমনে স্থায়ী দুর্ভোগের আশংকা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু ও সড়কের দু পাশেই স্থানীয় লোকজন গাছ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে দিয়েছে যাতে কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিকল্প হিসেবে স্থানীয় প্রসাশন নুরিয়া হাজীর হাট থেকে ভাই ভাই তেহমুনি হয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সড়কটি প্রস্থে কম ও আধাপাকা হওয়ায় ছোট ধরনের যানবাহন ছাড়া অন্য কিছু চলাচল করতে পারছে না। অন্যদিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে গ্রামীন সড়কটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আংশকা করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, এর আগে গত সোমবার বিকেলে আসা জোয়ারের অতিরিক্ত স্রোতে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার টু সোনাপুর সড়কের নবিয়ল মোড়ের এ সেতুর একটা অংশ এবং দু’পাশের সংযোগ সড়কের প্রায় ১০মিটার ধসে পড়ে। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় বড় ধরনের যানবাহন চলাচল।
গত মঙ্গলবার দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় সেতু ও সড়কের আংশিক ক্ষতিগ্রস্তের চিত্র তুলে সংবাদ প্রকাশ হলে ১০/১২জন শ্রমিকের উপস্থিতিতে সংষ্কারের কাজ শুরু করলেও প্রতিদিন দু বেলা জোয়ার ও তীব্র স্রোত থাকায় স্বাভাবিক ভাবে সংষ্কার কাজ করতে পারছেন না জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ইতিমধ্যে জিওব্যাগসহ বেশ কিছু সংষ্কার সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আনা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি আঞ্চলিক সড়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ন হওয়ায় এবং প্রতিনিয়তই ভারী যানবাহন চলাচল করায় এখানে একটি স্থায়ী বেইলি সেতু স্থাপন জরুরী। এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী শিক্ষক নুরুল আলম, জামাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জানান, সেতু ও সড়ক ধসে পড়ায় অন্যান্য দিন হেঁটে চলাচল করা গেলেও আজ থেকে তাও যাচ্ছে না। আজকে সকালেও প্রায় ৫কিলোমিটার গ্রামীন মেঠোপথ ঘুরে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। দ্রুত সেতুটি সংষ্কার করার দাবি জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, সড়ক ও জনপদে বিভাগের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়া সড়ক ও সেতুর সংষ্কার কাজ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর স্থলে একটি বেইলি ব্রিজ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা সড়ক ও জনপদ নির্বাহি প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, গত তিন চারদিন ধরে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। অন্য এক জায়গা থেকে একটি বেইলি সেতু এনে দ্রæতই এখানে স্থাপন করা হবে।