ই-পেপার বাংলা কনভার্টার  বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
ই-পেপার  বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ: সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা      ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেশি জরুরি : সালেহউদ্দিন আহমেদ      হঠাৎ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত গ্রাম-শহর      উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ২       চীন বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা      




পদত্যাগ-অপসারণ, পদায়ন-পদোন্নতি নিয়ে টালমাটাল প্রশাসন
আকতার হোসেন
Published : Thursday, 8 August, 2024 at 11:44 AM
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর টালমাটাল দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়সহ সর্বত্র বিরাজ করছে অস্থিরতা। প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিবসহ প্রভাবশালী আমলারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগেরদিন বাতিল হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। তিনিও সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ বাহিনীর শীর্ষ কয়েকটি পদে রদবদল করা হয়েছে। এই যখন অবস্থা-ঠিক তখনই শুরু হয়েছে পদত্যাগ-অপসারণ বদলি ও পদায়নসহ নানা দাবিতে উঠছে বিভিন্ন মহলে। সবমিলিয়ে রাষ্ট্রের সার্বিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে এক ধরনের স্থবিরতা। 
জানা গেছে, সরকার পতনের তৃতীয় দিনেও ‘ভয়ে’ অফিসে আসছেন না গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়-বিভাগের সচিবরা। তাদের অনুপস্থিতে অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনও দিক-নির্দেশনা পাচ্ছেন না। ফলে এসব মন্ত্রণালয়-বিভাগের কার্যক্রমে এক প্রকার স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, তিনি নেই, তার কক্ষও বন্ধ। তার দপ্তরের কর্মচারীরা জানান, সরকার পতনের পর গত দুদিন তিনি সচিবালয়ে আসেননি। না আসার কারণও কর্মচারীরা জানেন না। একই চিত্র দেখা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিনও দুদিন অফিস করছেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে দুই সচিব। তাদের কাউকেই দপ্তরে পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম দুদিনই তার দপ্তরে অনুপস্থিত। আর সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান মঙ্গলবার অফিসে এলেও গতকাল আসেননি বলে জানিয়েছেন তার দপ্তরের কর্মচারীরা। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী দুদিন ধরে অফিস করছেন। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার এ দুদিন অফিস করছেন না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনও এ দুদিন অফিস করছেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার অফিসে এলেও গতকাল আসেননি। কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রীদের সঙ্গে মিলে সচিবরা মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন। সরকার পতনের পর মন্ত্রীদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ মানুষ। এ ইস্যুতে সচিবরাও ভয়ে আছেন। এজন্য অনেকে অফিসে আসছেন না। তারা আরও বলেন, সরকার পতনের পর মন্ত্রীর পদ ফাকা। অনেক সচিবও অফিস করছেন না। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়-বিভাগের কার্যক্রমে এক প্রকার স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।   
পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার পর এবার পুলিশের আরো চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। সদর দপ্তরে সংযুক্ত অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাইনুল হাসানকে ডিএমপি কমিশনার (চলতি দায়িত্ব), র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে, ডিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল করা হয়েছে। এতে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি এবং মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বরাবরে অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে এই অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগপত্রটি এসেছে। পদত্যাগপত্রটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকার পতনের পর অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনে কর্মকর্তাদের ক্ষোভে চরম অস্থিরতা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এরমধ্যেই চার ডেপুটি গভর্নর, হেড অফ বিএফআইইউ ও নীতি উপদেষ্টা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া খোঁজ মিলছে না গভর্নর গভর্নর আব্দুর রউফের। বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যদিও এরইমধ্যে তার পদত্যাগ করার গুঞ্জন চলছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। দুপুরের দিকে যা এনবিআরের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন কর অফিসে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের এক দাবি স্বৈরাচার চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। অপরদিকে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে মাতৃসংস্থায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা ও চাকরিচ্যুত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনসহ অন্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করে চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশেন (ডুসা) অর্থাৎ দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান। যা কমিশনের কাছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের আবেদন করা হয়েছে। 
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ প্রভাবশালী আমলারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের ফোন বন্ধ রয়েছে। দপ্তরের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। অধস্তন কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের নির্দেশনাও তারা দিচ্ছেন না। এ ছাড়া অন্যান্য দপ্তর প্রধানরাও অফিসে অনুপস্থিত। ফলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে প্রশাসন। চেইন অব কমান্ড একেবারেই ভেঙে পড়েছে। একাধিক কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশেষ করে সচিবরা মহা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। পদোন্নতি বঞ্চিতরা তাদের সামনে পেলে অপমান, অপদস্ত করবেন, এমন ভয়ও রয়েছে তাদের মধ্যে। তবে কয়েকজন সচিব গত দুদিন সচিবালয়ে অফিস করেছেন। আবার দ্রুত তারা অফিস ত্যাগও করেন।  
দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত থাকা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ১৯ জন কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জনপ্রশাস মন্ত্রণালয়ে ওএসডি থাকা মো. বাবুল মিঞা, ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানজমেন্ট প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. ইউনুছ আলী, কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তরিকুল আলম, পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহমান তরফদার, ভূমি আপিল বোর্ডের শাখাপ্রধান কানিজ মওলা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিমুল্লাহ। আরও রয়েছেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফিরোজ সরকার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) উপপরিচালক কে এম আলী আজম, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উপপরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন খান, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরজাহান খানম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রেস কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন, ভূমি আপিল বোর্ডের শাখা প্রধান হোসনা আফরোজা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরিদা খানম এবং সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সগীর হোসেন।
দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত থাকার পর এবার নড়েচড়ে বসেছেন সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিএনপিপন্থি কর্মচারীরা। তারা গতকাল বুধবারের মধ্যেই তাদের পদোন্নতি দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চাপ দেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে সচিবালয়ে কর্মচারীরা আসার পর দুপুর ১২টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে একত্রিত হন পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মচারীরা। এ মন্ত্রণালয়ের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রায় একশ কর্মচারী একত্রিত হয়ে জরুরি আলোচনা করেন। তৈরি করেন পদোন্নতি বঞ্চিতদের তালিকা। পরে এ তালিকা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) রিপন চাকমার দপ্তরে যান তারা। তাকে না পেয়ে পুনরায় আবার আলোচনায় বসেন তারা। এসময় পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মচারীদের সভাপতি এ বি এম আলামিন বলেন, আমরা চাই আজকের (গতকাল বুধবার) মধ্যেই আমাদের পদোন্নতি দিতে হবে।
এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতি চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলেও হয়তো তারা অফিসে ফিরবেন। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। 
সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, এখন যারা দেশের দায়িত্বে আছেন তাদেরই কর্মকর্তাদের আশস্ত করে অফিসে ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়বে। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা অফিস ছেড়ে গা ঢাকা দিলে তা প্রশাসন ও দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অফিসে ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ সচিব ও অন্য কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করেন। কারা প্রশাসনে থাকবে, কারা থাকবে না সেটি পরবর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। সে পর্যন্ত কর্মকর্তাদের অবশ্যই অফিস করতে হবে। প্রশাসন সচল রাখতে হবে। এভাবে চলতে পারে না।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]