চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতনে জোরদার হয়েছে আন্দোলন। সারাদেশের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন সমন্বয়ক টিম ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' সমম্বয়ক রিফাত রশিদ এই কমিটির তালিকা গণমাধ্যমে পাঠান। এর আগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম গ্রুপে রিফাত রশিদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্মমভাবে চালানো গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় দায়ীদের পদত্যাগ এবং গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করা হলো। আন্দোলনকে আরও গতিশীল করতে কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে ৪৯ জন এবং সহ-সমন্বয়ক হিসেবে ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে পদায়ন করা হয়।
সমম্বয়করা হলেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আব্দুল কাদের, আব্দুল হান্নান মাসুদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), হামজা মাহবুব, রেজোয়ান রিফাত, আবু বাকের মজুমদার, আদনান আবির, জামান মৃধা, মোহাম্মদ সোহাগ মিয়া, রিফাত রশিদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান,মুমতাহীনা মাহজাবিন মোহনা (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হল) আনিকা তাহসিনা (রোকেয়া হল), উমামা ফাতেমা (সুফিয়া কামাল হল) তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, তরিকুল ইসলাম, নুসরাত তাবাসসুম (শামসুন্নাহার হল), রাফিয়া রেহনুমা হৃদি (বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল), নিশিতা জামান নিহা, মেহেদী হাসান, মো. আবু সাঈদ, সানজানা আফিফা অদিতি, তানজিনা তাম্মিম হাপসা, আলিফ হোসাইন, কাউসার মিয়া, সাইফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণা রিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু, আব্দুর রশিদ জিতু, ঢাকা কলেজের নাজমুল হাসান, ইডেন মহিলা কলেজের, শাহিনুর সুমী, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের কলেজ সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, আসাদুল্লাহ আল গালিব, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো তৌহিদ আহমেদ আশিক, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির নাজিফা জান্নাত, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদ বিন রন, ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইব্রাহীম নিরব।
সহ-সমম্বয়ক হলেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনহাজ ফাহিম, রিজভি আলম, ফাহিম শাহরিয়ার, সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ, রাইয়ান ফেরদৌস, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবিদ হাসান রাফি, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, রাসেল মাহমুদ, আরিফুল ইসলাম, বায়েজিদ হাসান, মো. শাহেদ, মেহেদী হাসান, দিলরুবা আক্তার পলি, কুররাতুল আন কানিজ, এবি যুবায়ের, মো. মহিউদ্দিন, নাহিদা বুশরা, মেহেদী হাসান মুন্না, রিদুয়ান আহমেদ,ঈশী সরকার, ফাতিহা শারমিন এনি, সামিয়া আক্তার, মাইশা মালিহা,সাদিয়া হাসান লিজা, আশিকুর রহমান জিম, নাফিসা ইসলাম সাকাফি, সাবিরা উম্মে হাবিবা, সিহাব হোসেন শাহেদ, আহসান হাবিব, ইব্রাহিম মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন রুদ্র, আসিফ ইমতিয়াজ খান, শাকিল আহাম্মেদ, শরীফ আহমেদ, তাহসীন আহমেদ, খালেদ হাসান, সারজানা আক্তার লিমানা, জুবু বায়েজিদ, মাহিয়ান ফারদিন সিফাত, মাসুদ রানা, সাকিবুল হাসান, বাদশা শেখ,শাহজালাল সজল, মুহাম্মাদ তাশফীন (হৃদুল), জুনায়েদ আবরার, আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ খন্দকার, কে. এম. জাবিদ, রিদওয়ান আহমেদ, গোলাম মওলা রাশেদ, মো. জহির রায়হান সালমান সাদিক, হাসিবুর ইসলাম নাসিফ, এস. আই. শাহীন, মতিউর রহমান পিয়াল, নাফিউর রহমান রাকিব, মো. আরিফ হোসাইন, আহসান হাবিব ইমরোজ, উবায়দুর রহমান হাসিব ও রিনভী মোশাররফ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাফওয়ান হাসান তামিম, আরমান হোসাইন, আজিজুল হক, আরাফাত ইমন, শুভ আহমেদ, শাদমান সাকিব, নাসিম আহমেদ, মাহিউল ইসলাম, আরাফাত ইমরান, মো. আরমানুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, রিফাত রিদওয়ান, সাঈদ আফ্রিদী, মিয়া মোহাম্মদ সোহাগ, মেহেরাজ হাসান শিশির, মো. হাফিজুর রহমান, আরিফ হোসাইন, অছিকুর রহমান জয়, আহমেদ আল সাবাহ।
এছাড়াও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়সাল হোসেন মাসুদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল তানভীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খান তালাত মাহমুদ রাফি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকলেসুর রহমান সুইট, আইরিন সুলতানা আশা, এস. এম. সুইট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু রায়হান, সাকিব হোসাইন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ মুহিদুল ইসলাম রিন্তু ,জাহিদুল ইসলাম হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শওকত ইমরান, তানিম আহমেদ, ঢাকা কলেজের মো. রাকিব, কবি নজরুল সরকারি কলেজের মো মেহেদী হাসান, সরকার তিতুমীর কলেজের, মো সুজন মিয়া নর্দান ইউনিভার্সিটির, আতিক মুন্সি, খুলনা বি এল কলেজের সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, স্টেট ইউনিভার্সিটির, মিশু আলী সুহাশ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেহেদী হাসান বাবু খান ও হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের তসলিম হাসান অভি, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) মুক্তার হোসেন, রুমান উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মুমিন, শুয়াইব বিল্লাহ, বঙ্গমাতা শেষ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিটন আকন্দ, রিয়াদ হাসান।
এর আগে ৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।