প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৫৬ পিএম আপডেট: ০১.০৮.২০২৪ ৪:৫৯ পিএম (ভিজিটর : ৩২৭)
নিজ নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর-কদমতলীকে দূর্বৃত্তদের নাশকতা ও সহিংসতা মুক্ত রাখতে রাজপথে সরব রয়েছেন ঢাকা- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে নিয়মিত ভাবেই তিনি তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিরামহীন ভাবে সভা সমাবেশে, মিছিল, উঠান বৈঠক সহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এই সকল কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার সাধারণ মানুষেরও অংশ গ্রহণ দেখা গেছে। ধারাবাহিক কর্মসূুচির অংশ হিসেবে বুধবারও শ্যামপুর কদমতলীতে বিশাল গণমিাছিল করেছেন ড. আওলাদ হোসেন। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, সা¤প্রতিক কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতায় জামায়াত-শিবির সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। ওরা সারাদেশে ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এলাকায় হামলা, ভাংচুর, নিপীড়ন, নির্যাতন, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সন্ত্রাসীরা কর্তব্যরত সোনালী নামে এক নারী সাংবাদিককে নির্যাতন করেছে, গ্যাস লাইটার দিয়ে চেহারায় আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, টেনে হিচড়ে গায়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। পরে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে যে নাশকতা, হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন হয়েছে, তা থেকে ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞ ও নারী নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে সারাদেশে প্রায় শতাধিক প্রানহানি ঘটেছে, বিটিভি, সেতুভবনসহ অসংখ্য সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। অসংখ্য সরকারী-বেসরকারী যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আবেগের জায়গা, মেট্রোরেলের দুইটি ষ্টেশন, ইলিভেটেড হাইওয়ে ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর টোলপ্লাজা করেছে। রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে ফুটওভারের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। যা পাকিস্তানী দোসরদেরও হার মানিয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের ফেরদৌসী ইয়াসমীন পপি, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতা শরীফ মোহাম্মদ শাজাহান, ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত মুফতী, ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফারুক, ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের নেতা শাহিদ মাহমুদ হেমি, হাজী মহব্বত হোসেন, জিল্লুর রহমান, রফিকুল ইসলাম শাহীন, হানিফ সরকার, যুবলীগ নেতা দবীর হোসেন, আরিফুর রহমান রুবেল, ফরিদ হোসেন, সভাপতি, বিল্লাল হোসেন।